চৈতালি/পুঁটু
অবয়ব
< চৈতালি
(পৃ. ৪৭)
পুঁটু
চৈত্রের মধ্যাহ্নবেলা কাটিতে না চাহে।
তৃষাতুরা বসুন্ধরা দিবসের দাহে।
হেনকালে শুনিলাম বাহিরে কোথায়
কে ডাকিল দূর হতে ‘পুঁটুরানী, আয়’।
জনশূন্য নদীতটে তপ্ত দ্বিপ্রহরে
কৌতূহল জাগি উঠে স্নেহকণ্ঠস্বরে।
গ্রন্থখানি বন্ধ করি উঠিলাম ধীরে,
দুয়ার করিয়া ফাঁক দেখিনু বাহিরে।
মহিষ বৃহৎকায় কাদামাখা গায়ে
স্নিগ্ধনেত্রে নদীতীরে রয়েছে দাঁড়ায়ে।
যুবক নামিয়া জলে ডাকিছে তাহায়
স্নান করাবার তরে, ‘পুঁটুরানী, আয়’।
হেরি সে যুবারে, হেরি পুঁটুরানী তারি,
মিশিল কৌতুকে মোর স্নিগ্ধ সুধাবারি।
২৩ চৈত্র ১৩০২