বিষয়বস্তুতে চলুন

জেলের খাতা

উইকিসংকলন থেকে

জেলের খাতা

জেলের খাতা


বিপিন চন্দ্র পাল



২য় সংস্করণ



যুগযাত্রী প্রকাশক লিমিটেড্‌

কলিকাতা।

প্রকাশক:

নারায়ণ পাল

যুগযাত্রী প্রকাশক লিঃ, ২২০, বিবেকানন্দ রোড,

কলিকাত-৬।

দ্বিতীয় সংস্করণ

মূল্য—দুই টাকা  

মুদ্রাকর:

জ্ঞানাঞ্জন পাল

নিউ ইণ্ডিয়া প্রিণ্টিং এণ্ড পাবলিশিং কোঃ লিঃ

৪১এ, বলদেওপাড়া রোড, কলিকাতা-৬।


 শ্রীযুত বিপিনচন্দ্র পাল আমার বছদিনের বন্ধু। অন্য লক্ষ্য করিয়াছেন কি না জানি না, কিন্তু গত পনর বৎসরকাল তাঁহার হৃদয়ে ভাবের কেমন বিবর্ত্তন ঘটিতেছে, তাহা আমি লক্ষ্য করিয়াছি—এখনও করিতেছি। তাই তিনি জেলখানা হইতে ফিরিয়া আসিলে তাঁহার “জেলের খাতা” দেখিবার ভার যখন তামার উপর অর্পণ করেন, তখন আমি একটু সুখবোধ করিয়াছিলাম। কিন্তু আমার অদৃষ্টদোষে সময়াভাবে যেমন করিয়া দেখিয়া দিলে অমর মনোমত হইত “জেলের খাতা” আমি তেমন করিয়া দেখিয়া দিতে পারি নাই। তবে ভরসা এই যে, সমাজে এখন জহুরীর অভাব নাই, কাট-ছাট, ঘসা মাজ ভাল হউক আর নাই হউক, মাণিকের আদর অনেকেই করিবেন।

 আমি যাহা ভাল বুঝি ও ভাল দেখি তাহাকে ভাল না বলিয়া, আমার সর্ব্বস্ব— আমার ইহ পরকাল যে অতি সুন্দর, অতি মনোহর, অনুপম— এই কথাটা এখন সমাজে প্রচার করিতে হইবে। যে দীনতা লাভ করিলে এমন কথা মুখ ফুটিয়া বাহির হয়, এই পুস্তকে সেই দৈব দীনতার উৎপত্তি, বিস্তৃতি ও পরিণতি এক হিসাবে ব্যাখ্যাত হইয়াছে। আমার সব ভাল,— কলঙ্কও ভাল গৌরবও ভাল; আমার পাণ্ডিত্যের দাবদাহ ভাল, আমার অনন্ত অতীতের অপরিমেয় শ্লাঘাও ভাল। আর ভাল আমি এবং আমার দেবতা। শ্রীযুক্ত বিপিনচন্দ্র পাল ধর্ম্মের ও আত্ম নিবেদনের মন্দাকিনী ধারায় এই কথাই স্বয়ং বুঝিয়াছেন, অন্যকে বুঝাইতে চেষ্টা পাইয়াছেন। পাঠক পাঠিকারা বিপিনচন্দ্রের ভাবের ভাবুক হইয়া সমাজ সমষ্টির ও কৃষ্টির মর্য্যাদবুদ্ধির পুষ্টি করিলে তাঁহার পরিশ্রমও সার্থক হইবে, আমার উৎকণ্ঠাও প্রশমিত হইবে। ইতি—.


২৩শে মার্চ্চ ১৯১৩ খৃঃ অঃ।
শ্রীপাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়।

দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশে নিবেদন

 ৺বিপিন চন্দ্র পাল মহাশয় ১৯০৭ সালে শ্রীঅরবিনেন্দর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করায় ইংরাজের কারাগারে ছয় মাস করারুদ্ধ হ’ন। “জেলের খাতা” সেই সময়ের রচনা। প্রথম সংস্করণ ফুরাইবার পর দীর্ঘকাল পরে পুনরায় ইহা প্রকাশিত হইল। বিপিন চন্দ্র পাল মহাশয়ের বাংলা ও ইংরাজী রচনা ও বক্তৃতাবলী সংগ্রহ করিয়া প্রকাশ। করিবার চেষ্টায় আমাদের ইহা প্রথম গ্রন্থ।
যুগযাত্রী প্রকাশক লিমিটেড্‌
কলিকাতা।
১লা সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪

সূচী

বিষয়
পৃষ্ঠা
১৪
২০
২৫
৩১
৫৭
৬১
৭৮

জেলে অবস্থানকালে বিপিন চন্দ্র পাল মহাশয়ের অনুভূতি সম্বন্ধে শ্রীঅরবিন্দের অভিমত:

 “It was more than a year ago that I came here last. When I came here last, I was not alone; one of the mightiest prophets of Nationalism sat by my side. It was be who then came out of the seclusion to which God had sent him so that in the silence and solitude of his cell he might hear the word that he had to say. It was he that you came in your hundreds to welcome. Now he is far away separated from us by thousands of miles

 “When Bipin Chandra Pal came out of jail, he came with a message, and it was an inspired message. I remember the speech he made here. It was a speech not so much political as religious in its bearing and intention. He spoke of his realization in jail of God within us all, of the Lord within the nation, and in his subsequent speeches also he spoke of a greater than ordinary force in the movement and greater than ordinary purpose before it. That message which Bipin Chandra Pal received in Buxar Jail, God gave to me in Alipur”

১৯০৯ সালে উত্তরপাড়ার মহতী জনসভায়
শ্রীঅরবিন্দ প্রদত্ত বক্ততা হইতে।

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।