তীর্থ-সলিল/অপূর্ব্ব বিষাদ

উইকিসংকলন থেকে

অপূর্ব্ব বিষাদ।

হৃদয়ে আমার বিষাদের ভার,
গেছে মন-সুখ ফুরায়ে;
বুঝি কভু হায় পা’ব না সে সুখ
এ জীবনে আর ফিরায়ে।
দরশন তা’র পাই না যেথায়,—
শ্মশান হেন গণি তায়;
বেসুর নীরস সারা সংসার
আমার চক্ষে আজি হায়।
ভেঙে শত চুর হয়েছে হৃদয়,
মনের কিছুই নাহি ঠিক,
কোথা যেন হায় ভাসিয়া বেড়ায়
ঘুরিয়া মরে সে চারিদিক।
হৃদয়ে আমার বিষাদের ভার
গেছে মন-সুখ ফুরায়ে;
বুঝি কভু হায় পা’ব না সে সুখ
এ জীবনে আর ফিরায়ে।
আমি চেয়ে থাকি তারি তরে শুধু
বাতায়ন পথে বিমনা;
তারি তরে যাই ঘরের বাহিরে
আর কাজে মন লাগে না।

মরি কি মূরতি মনোবিমোহন,
কি মধুর তার প্রকৃতি;
সে অধরে সেই সুধামাখা হাসি,
সে চোখে প্রেমের কি জ্যোতি!
সে মধুর বাণী বহি’ শত ধারে
হরণ করে গো প্রাণ মন;
মরি কিবা সুখ পরশে তাহার;
ওহো, আর সেই চুম্বন!
হৃদয়ে আমার বিষাদের ভার
গেছে মন-সুখ ফুরায়ে;
বুঝি কভু হায় পা’ব না সে বুখ
এ জীবনে আর ফিরায়ে।
নিয়ত হৃদয় জ্বলিছে আমার
তারি তরে, হায়, কোথা সে?
বারেকের তরে পাই যদি তারে
রাখি ধরি’ হৃদি-নিবাসে।
বারেক তাহারে পাইলে চুমিতে
—সতত যেমন মানসে,—
বুঝি, এ হৃদয় গলিয়া তখনি
চুম্বনে তা’র যা’বে মিশে!

গেটে।