নারী-চরিত/এথেনেস্‌

উইকিসংকলন থেকে

এথেনেস্‌।

 প্রায় ৪০২ খৃষ্টাব্দে গ্রীসের অন্তঃপাতী এথেন্স নগরে এথেনেস্‌ জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁহার পিতার নাম লিওনেন্সস্‌। তিনি গ্রীসদেশীয় একজন সামান্য লোক ছিলেন বটে; কিন্তু বিদ্যাজ্যোতিতে তাঁহার হৃদয়মন্দির আলোকিত ছিল সুতরাং বিদ্যার গুণগরিমা তাঁহার অবিদিত ছিল না। তজ্জন্যই তিনি স্বয়ং নিজকন্যার লেখা পড়ার ভার লইয়া স্বদেশীয় ভাষা শিক্ষা দিতে আরম্ভ করিলেন। এথেনেস্‌ও সাতিশয় অনুরাগসহকারে প্রতিদিন নূতন নূতন পাঠ অভ্যাস করিয়া অল্পকালের মধ্যে পিতার অনুগ্রহপাত্রী হইয়া উঠিলেন। তিনি বিদ্যাভ্যাসবিষয়ে এরূপ একান্তমনা হইয়াছিলেন যে, ক্ষণকালের জন্যেও আলস্যের অনুরোধে বিশ্রামের অধীনতা স্বীকার করিতেন না। গৃহকর্ম্ম সমাধা হইলেই কেবল পাঠ্যপুস্তক লইয়া অবিচলিত চিত্তে বিদ্যালোচনা করিতেন। কন্যার বিদ্যাশিক্ষায় এরূপ যত্ন ও উৎসাহ দেখিয়া, লিওনেন্সস্‌ আনন্দমনে তাঁহাকে বিজ্ঞান, দর্শন ও পুৱাণ শাস্ত্র প্রভৃতির শিক্ষা দিতে আরম্ভ করিলেন। কুমারীও কায়মনে পরিশ্রম করিয়া অল্প সময়ের মধ্যে সমধিক বিদ্যা উপার্জ্জন করিলেন ও দিন দিন জনসমাজের অনুরাগপাত্রী হইতে লাগিলেন। ফলতঃ বয়োবৃদ্ধি সহকারে তাঁহার যেরূপ জ্ঞানবৃদ্ধি হইতে লাগিল, সেই রূপ নম্রতা ও সুশীলতা প্রভৃতি সদ্গুণ তাঁহাকে আশ্রয় করিল। সুতরাং দেশীয় অনেকানেক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা তাঁহার পাণি গ্রহণে সচেষ্টিত হইতে লাগিলেন। এই সময়ে অকস্মাৎ লিওনেন্সেসের উৎকট পীড়া হওয়াতে, তিনি আপন অন্তিম সময় উপস্থিত জানিয়া সমস্ত সম্পত্তি সন্তানদিগের মধ্যে বিভাগ করিয়া দিতে অভিলাষ করিলেন এবং ভাবিলেন, এথেনেস্‌ যে রূপ অসামান্য লাবণ্যবতী ও সদ্গুণশালিনী, তাহাতে বোধ হয় সে অবশ্য কোন ভাগ্যবান্ পাত্রে ন্যস্ত হইবে, ও আপনার ভরণপোষণ যোগ্য যৌতুক পাইবে তাহার সন্দেহ নাই। অতএব তাহাকে যৎকিঞ্চিৎ দিয়া অবশিষ্ট সমুদায় সম্পত্তি তাহার ভ্রাতৃগণকে বিভাগ করিয়া দেওয়াই উচিত। এই স্থির করিয়া সমস্ত ধন আপন পুত্রদিগকেই বণ্টন করিয়া দিলেন।

 এথেনেস্‌ পিতার এই রূপ অন্যায় আচরণ দেখিয়া সাতিশয় ক্ষুন্ন ও বিষন্ন চিত্ত হইয়া ভ্রাতৃগণকে সম্বোধন পূর্ব্বক কহিলেন হে ভাতৃগণ! পিতৃধনে তোমাদিগের ও আমার তুল্য রূপ অধিকার আছে, অতএব অন্যায় পূর্ব্বক তাঁহার সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করা কোন মতেই তোমাদিগের উচিত নহে। তাঁহার ভ্রাতারা ভগিনীর ঈদৃশ বাক্যে একেবারে ক্রোধ ও লোভের বশীভূত হইয়া তাঁহাকে পৈতৃকবাটী হইতে দূরীকৃত করিয়া দিলেন। এথেনেস তখন কি করেন, নিরুপায় হইয়া পিতৃব্য-পত্নীর বাটীতে আশ্রয় লইলেন। তাঁহার পিতৃব্যপত্নী বাল্যকালাবধি তাঁহাকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন, এক্ষণে আদর পূর্ব্বক আপন গৃহে স্থান দিয়া তাঁহার ভ্রাতৃগণের বিপক্ষে রাজদ্বারে বিচার প্রার্থনা করিতে পরামর্শ প্রদান করিলেন। এথেনেস পিতৃব্যপত্নীর উৎসাহে প্রোৎসাহিত হইয়া তাঁহার সমভিব্যাহারে কন্‌ষ্টান্‌টিনোপল নগরের রাজসভায় উপস্থিত হইলেন। সেই সময়ে সম্রাট্‌ দ্বিতীয় থিয়োডোসস্‌ আপন ভগিনী পলচেরিয়ার সহিত একত্রে রাজ্য করিতেন। এথেনেস্‌ সেই রাজভগিনীর সমক্ষে ভ্রাতৃগণের অন্যায় আচরণের কথা বর্ণন করিয়া বিচার প্রার্থনা করিলেন। কুমারী পলচেরিয়া এথেনেসের মোহনমূর্ত্তি ও বিনীত স্বভাব দশনে বিমোহিতা ও করুণার্দ্রীভূতা হইয়া, তাঁহার যাবতীয় বৃত্তান্ত মনোেযোগ পূর্ব্বক শ্রবণ করিলেন এবং বিপক্ষদিগের যৎপরোনাস্তি নিষ্ঠুর ব্যবহার অবগত হইয়া সম্রাটের নিকট সমস্ত বিজ্ঞাপন করিলে, সম্রাট্‌ তাঁহার অসাধারণ গুণগরিমার পরিচয় পাইয়া ও অলোকসামান্য রূপ লাবণ্য দর্শন করিয়া এরূপ মুগ্ধ হইলেন যে, তাঁহাকে আপনার প্রিয় সহচরী রূপে বরণ করিবার অভিলাষ প্রকাশ করেন। এথেনেস সহসা এই রূপে আপনার ভাগ্য পরিবর্ত্তিত হইতে দেখিয়া, অসীম আনন্দ লাভ করিলেন। সম্রাটও দিন দিন তাঁহার প্রতি যথোচিত প্রণয় প্রকাশ দ্বারা তাঁহাকে পরম পরিতোষ প্রদান করিতে লাগিলেন। বিশেষতঃ এথেনেসকে খৃষ্টধর্ম্মে শিক্ষিত করিবার জন্য উপদেশক নিযুক্ত করিয়া দিলেন। অনন্তর ক্রমে ক্রমে ধর্ম্মোপদেশ দ্বারা জ্ঞানোদয় হইলে, এথেনেস দেশীয় পৌত্তলিক ধর্ম্ম পরিত্যাগ পূর্ব্বক খৃষ্টধর্ম্মের আশ্রয় লইলেন। পরে রাজকীয় যাজক তাঁহার জল সংস্কার সম্পন্ন করিয়া তদীয় খৃষ্টীয় নাম ইতোথিয়া রাখিলেন। অনন্তর দিন স্থির হইলে, মহাসমারোহ পূর্ব্বক সম্রাট থিয়োডোসস্‌, এথেনেসের পাণিগ্রহণ করিলেন। এথেনেস রাজসহধর্ম্মিণী হইয়া পরম সুখে ও সচ্ছন্দমনে রাজভবনে বাস করিতে লাগিলেন এবং আপনার অসামান্য সদ্গুণে আগষ্টা[১] উপাধি প্রাপ্ত হইয়া পর বৎসর এক কন্যা প্রসব করিলেন। রাজমহিষী এথেনেস সামান্য বংশে জন্ম পরিগ্রহ করিয়া ছিলেন বটে; কিন্তু বিদ্যোপার্জ্জন বিষয়ে অসাধারণ অধ্যবসায় থাকাতে, পরিশেষে তিনি এক সাম্রাজ্যের অধীশ্বরী হইলেন। এথেনেস এতাদৃশ সৌভাগ্যশালিনী হইলেও তদীয় নির্ম্মল স্বভাবে কখন কোন দোষ স্পর্শ হয় নাই। তিনি আপনাকে পূর্ব্বের ন্যায় সামান্য বোধে সকলের সহিত তুল্য রূপে স্নেহ ও আলাপ করিতেন। যদিও তিনি নিরন্তর বিলাসিরাজপরিবারে বেষ্ঠিত হইয়া নানা কার্য্যে ব্যস্ত থাকিতেন, তথাপি ক্ষণকালের জন্যেও বিদ্যালোচনায় বিরত হন নাই। যৌবনসুলভ চপলতাসত্ত্বেও তিনি নিয়ত গ্রীক ও রোমীয় ভাষার চর্চ্চা করিয়া বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। রাজ্যশাসনবিষয়ে স্বামীর আনুকূল্য ও প্রতিনিয়ত ধর্ম্মশিক্ষা করা তাঁহার প্রধান কার্য্যরূপে পরিগণিত হইয়াছিল। তিনি খৃষ্টীয় পুরাতনধর্ম্মনিয়ম সম্বন্ধীয় গ্রন্থ সমূহের কএক অধ্যায় মূলের ব্যাখ্যা বা টীকা লিথিয়া ধার্ম্মিকবর্গের প্রতিদায়িনী হইয়াছিলেন। অতঃপর তাঁহার স্বামী দ্বিতীয় থিয়োডোসস্ সম্রাটের পারস্য দেশ জয় সংক্রান্ত বিষয়টীকে “পারস্য রাজ্য জয়কীর্ত্তি” এই নাম দিয়া এক খানি পুস্তক প্রকাশ করিলেন এই পুস্তক সর্ব্বত্র প্রচারিত হইলে লোকসমাজে বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। সুপ্রসিদ্ধ লেখক গিবন, তাঁহার রচানশক্তির উল্লেখ করিয়া কহিয়াছেন যে, ‘‘তাঁহার রচনা যদিও তৎকালের অজ্ঞলোকদিগের নিকট বিশেষ প্রশংসিত হইয়াছিল বটে, কিন্তু আধুনিক সূক্ষ্মদর্শীগণও তাহা অপকৃষ্ট বোধ করেন নাই”।

 কিছুকাল পরে এথেনেস কন্যার বিবাহকার্য্য সমাধা পূর্ব্বক তীর্থযাত্রার অভিলাষ প্রকাশ করিলে সম্রাট তাঁহার প্রস্তাবে সম্মত হইয়া অনুমতি প্রদান করিলেন।

 অনন্তর রাণী আবশ্যকমত সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহ করিয়া পূর্ব্ব রাজ্যাভিমুখে অগ্রসর হইলেন। অবশেষে আন্তিখীয় নগরের রাজসভায় উপস্থিত হইয়া স্বর্ণ ও বহুমূল্য রত্নমণ্ডিত সিংহাসনে উপবেশন পূর্ব্বক নগরের আয়তন বৃদ্ধি ও প্রকাশ্য স্নানাগার পুনসংস্থাপন বিষয়ক এক উৎকৃষ্ট বক্তৃতা করিলেন। তিনি এই বিষয়ের সমাধা জন্য নিজ কোষ হইতে অপরিমিত অর্থ দান করেন। পরিশেষে তিনি সমুচিত সম্ভম ও স্মরণার্থ বহুমূল্য রত্নাদি উপটৌকন সমভিব্যাহারে নিজ রাজধানীতে প্রত্যাগমন করিলেন।

 রাণী এথেনেস্‌ পূর্ব্বাবধি আপন সদ্গুণ জন্য স্বামীর অত্যন্ত প্রণয়িণী ছিলেন, অধুনা পূর্ব্বরাজ্য হইতে প্রত্যাগত হইলে তাঁহার নির্ম্মল চরিত্রে কথঞ্চিৎ দোষস্পর্শ হইল। উত্তরোত্তর অহঙ্কারের অনুগামিনী হওয়াতে নানা প্রকার উচ্চাভিলাষ তাঁহার মনকে নিয়ত যন্ত্রণা দিতে লাগিল। তখন তিনি রাজমন্ত্রিগণের কুপরামর্শ পরতন্ত্র হইয়া আপন উপকারিণী রাজকুমারীকে পদচ্যুত করিয়া স্বয়ং সাম্রাজ্যের ভার গ্রহণ করিতে অভিলাষিণী হইলেন ও ছলনা পূর্ব্বক সম্রাটের নিকট নিয়ত রাজকুমারীর দোষ ঘোষণা করিতে আরম্ভ করিলেন। পলচেরিয়া তাঁহার দুরভিসন্ধি বুঝিতে পারিয়া প্রতিহিংসার্থে তাঁহার প্রতি কোন ভয়ানক দোষারোপ করিয়া একেবারে সম্রাটসমক্ষে সেই দোষ প্রতিপন্ন করিয়া দিলেন। সম্রাট ভগিনীর বাক্যে সন্ধিহান হইয়া স্বীয় পত্নী এথেনেসকে সন্ত্রমচুত ও অপমানিত করিতে ক্ষণমাত্র কাল বিলম্ব করিলেন না।

 এই রূপে এথেনেস্‌ আপন মন্দবুদ্ধির সমুচিত প্রতিফল পাইয়া সাতিশয় অনুতাপ ও বিলাপের বশবর্ত্তিনী হইলেন। যখন দেখিলেন একবারে সম্রাটের মনোভঙ্গ হইয়াছে, তখন মনে মনে বিবেচনা করিলেন যে, আর এ নগরীতে আমার বাস করা কর্ত্তব্য নহে; তীর্থস্থান যিরুশালম নগরে যাইয়া ধর্ম্ম কর্ম্মের অনুষ্ঠান দ্বারা জীবনের অবশিষ্ট কাল অতিবাহিত করাই বিধেয়। মনোমধ্যে এই রূপ স্থিরসংকল্প করিয়া সম্রাটের নিকট অনুমতি যাচ্‌ঞা করিলেন। সম্রাট তাহা অবাধে গ্রাহ্য করিলে, তিনি রাজধানী পরিত্যাগ পূর্ব্বক অপরাধিনীর ন্যায় নগর বহিষ্কত হইয়া যিরুশালম নগরে যাত্রা করিলেন। তথায় বাস করিয়া ভজনালয় সংস্থাপন, দীনহীনদিগের অভাবমোচন ও আহার দান প্রভৃতি সৎকর্ম্মের অনুষ্ঠান করিতে লাগিলেন। তিনি তাঁহার প্রিয়তম দুহিতার দুরবস্থা ও স্বামীর মৃত্যু কাল পর্য্যন্ত জীবিত থাকিয়া তাহাতে বিস্তর শোক দুঃখ প্রকাশ করিয়াছিলেন।

 ক্রমে বয়োবৃদ্ধি হইলে ধর্ম্মক্ষেত্রবাসী ধার্ম্মিকগণের সহবাসে থাকিয়া মহিষীর চরিত্র সংশোধিত হইল। কোন কোন গ্রন্থকর্ত্তা কহেন যে, কিছু দিন পরে তিনি সম্রাটকে সান্ত্বনা করিয়া পুনর্ব্বার কন্‌ষ্টান্‌টিনোপল নগরে প্রত্যাগমন পূর্ব্বক মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত স্বামীর বিশ্বাস ও স্নেহপাত্রী হইয়া সুখসচ্ছন্দে তথায় বাস করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহা কোন মতে বিশ্বাসযোগ্য নহে; কেননা ইহা নিশ্চিত আছে যে, তিনি জীবনের নানা অবস্থা ভোগ করিয়া অবশেষে ৬৭ বৎসর বয়ঃক্রমে ন্যূনাধিক ৪৬৯ খৃষ্টাব্দে যিরুশালম নগরে দেহ ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি মহাজ্ঞানীর ন্যায় আপন নির্দ্দোষিতা সপ্রমাণ করিয়া প্রকৃত ধার্ম্মিকদিগের মত স্থিরভাবে অনন্তশয্যাশায়িনী হইয়াছিলেন।

 দেখ এথেনেস্‌ একজন সামান্য গৃহস্থের কন্যা; কেবল বিদ্যাবিষয়ে আন্তরিক যত্ন ও অনুরাগ থাকাতে এক প্রধান জনপদের রাজমহিষী হইয়া সকলের প্রীতিপাত্রী হইয়াছিলেন। তিনি প্রচুর প্রভুত্ব ও অসাধারণ ক্ষমতা পাইয়াও কখন কাহার প্রতি অন্যায় ব্যবহার করেন নাই; বরং সুযোগ পাইলে সাধারণের উপকারের জন্য অর্থ ব্যয় ও কায়মনে উৎসাহ দান করিতেন। এথেনেস্‌ নিয়ত রাজপরিবারে বেষ্টিত থাকিয়াও বিদ্যা ও ধর্ম্মচর্চ্চায় সতত অনুরক্তা ছিলেন। কখন অলীক আমোদ তাঁহার অন্তঃকরণে স্থান পায় নাই; কেবল একবার শতপ্রধান মন্ত্রিগণের কুমন্ত্রণায় আপন উপকারিণী রাজকন্যার প্রতি নিন্দাবাদ করেন; কিন্তু তন্নিমিত্ত পরিশেষে অপরিসীম অনুতাপ করিয়াছিলেন। যদ্যপি শৈশবাবস্থায় লেখা পড়া শিক্ষা বিষয়ে তাঁহার অনুরাগ না থাকিত ও সমধিক পরিশ্রম স্বীকার না করিতেন, তবে কখন এরূপ অসামান্য রাজ্যেশ্বরী ও পরোপকারিণী হইয়া বিখ্যাত হইতে পারিতেন না। যে বংশে তাঁহার জন্ম হইয়াছিল, তাহাতে সামান্য কামিনীগণের ন্যায় কষ্টভোগ সহ্য করিতে হইত, সন্দেহ নাই।

  1. পূর্ব্বকালে রোম দেশীয় সম্রাট ও তদীয় রাজমহিষীরা কোন মহৎ কার্য্য দ্বারা সুপ্রসিদ্ধ হইলে সম্রাটেরা আগষ্টস ও রাজ্ঞীরা আগষ্টা উপাধি প্রাপ্ত হইত।