বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8S 。 অক্ষয়কুমার বড়াল-গ্রন্থাবলী নিয়ে নূতন দেশের কথা, নূতন রঙ্গে, নূতন নাটে— আয় রে ক্ষুদ্র সোনার তরী, আমার ভাঙ্গ বিজন ঘাটে। কোথা হ’তে সোনার লতা, লতিয়ে লতিয়ে আসিস বুকে— রাশি রাশি ফুলের হাসি, ফুলের গন্ধ মাখিয়ে মুখে। কচি কচি কোকড়ান চুল চোখে মুখে বাপিয়ে পড়ে; পাহাড়-পাশে ঝরণা যেন, আছিস বিভোর আপন স্বরে। দূর আকাশের স্বপন কত চোখের ভিতর ঘুমিয়ে আছে— চাইলে ভয়ে চমকে পলায় শুকতারাটা মেঘের কাছে। বুকে দলি, কোলে তুলি, তবু তিয়াষ নাহি পুরে— কোথায় রাখি—কোথায় রাখি, বঁাশী যেন বাজছে দূরে। পরাণ-পাখী ছড়িয়ে পাখী কোথায় উড়ে যেতে চায়— কোন স্বরগের শু্যামল রেখা, দূরে ঈষৎ দেখা যায়। ঘুমায় নিথর চাদের আলো শিবালয়ের স্বর্ণচড়ে; ঘুমের ঘোরে ডাকে কোকিল—কুঞ্জে কুঞ্জে করুণ সুরে। এসেছিস কি সন্ধ্যাসতী, মরুভূমে রোদের পরে— আশার আভাস, স্মৃতির উছাস, প্রেমের সুবাস বুকে করে। শীতের পরে ভাঙ্গ ঘরে এসেছিস কি মধু-রাণী— কচি ফুট বাহু-লতায় ছাইতে ভাঙ্গ চালাখানি। এসেছিস কি শুকে দেশে নুতন ভাঙ্গা-মেঘের রাশি। তুই কি আমার উঠিস ফুটে বাদলা-মেঘে উষার হাসি সেই হাসিটা, সেই দিঠিট, একটু যেন মধুর বেশি। একটু বেশি আকুল-ব্যাকুল, একটু অধিক মেশামেশি। তেমনি অধর একটুকুতেই মানের ভরে কতই রাঙ্গ— অশ্রুভর। নয়ন ঘটী, শ্বাসে বচন ভাঙ্গা-ভাঙ্গ। আয় রে গত-মুখের স্বপন, সাঝের মেঘে সোনার হাসি— জীবন-ভরা নবীন হৃদয়, কানন-ভরা কুস্থমরাশি।