পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১• ) – ইংরাজরাজের শাসনে দেশের নূতন ধরণের বিন্য্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, সকলোই বিষাশিক্ষা করিবার সুযোগ প্রাপ্ত হইয়াছে। সকলেই এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করুক সৎ-সাহিত্য রচিত হউক, সৎ-সাহিত্যের আলোচনা দ্বারায় দেশের নরনারী ধনীদরিদ্র সকলেরই হৃদয় ও মন মার্জিত হউক। কিন্তু এই শিক্ষা যথার্থ রূপে সফল করিতে হইলে, শিক্ষিত জনসাধারণকে সংস্কৃত সাহিত্যের সাহায্যে অতীত ভারতের সহিত প্রাণময় সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। বাঙ্গালা সাহিত্যের অনুশীলন, আমাদিগকে বাঙ্গালা সাহিত্যের পিতা বা পিতামহ যে সংস্কৃত সাহিত্য, তাহার সহিত যদি কোনরূপ পরিচিত না করে, তাহা হইলে এই বাঙ্গালা শিক্ষা নিছুল হইবে— ইহাই তথনকার ধারণা ছিল। অক্ষয়কুমার নিজেওপ্রথম জীবনে উত্তম রূপে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন। এই কারণেই সে যুগের লেখকেরা চেষ্টা করিয়া। সংস্কৃত শবের দ্বারা বাঙ্গালা সাহিত্যের সৌষ্ঠব সাধন করিতেন। এই সমুদয় বাঙ্গালা গ্রন্থ যাহারা পড়িবেন, হ্রাহারা সংস্কৃত শব, ব্যাকরণ এবং অলঙ্কার শাস্ত্রের সহিত পরিচিত হইয়া অল্প পরিশ্রমে সংস্কৃত সাহিত্য আয়ত্ত করিতে পারিবেন। অথচ পৃথক রূপে সংস্কৃত সাহিত্যের চর্চা না করিলেও, সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সাহিত্য সম্বন্ধে একটা মোটামুটি সাধারণ জ্ঞান হইয়া যাইবে। ইহাই সে সময়ে সাহিত্য চর্চার অ্যতম উদ্দেপ্ত ছিল এবং অক্ষমুকুমার দত্ত প্রভৃতি লেখকেরা অনেক স্থলেই, এই উদ্দেত লাইয়া গ্রন্থ রচনা করিতেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, কেবল মাত্র পাণ্ডিত্য দেখাইবার জ্য। নিৰ্কিবাদে সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার দূষণীয়। কিন্তু অক্ষয়কুমারের রচনায় এবং তৎপরবর্তী এই শ্রেণীর অনেক সুলেখকের রচনায় এই দোষ নাই। সংস্কৃত শব্দ প্রয়োগের আরও কারণ রহিয়াছে। সংস্কৃত সাহিত্য যে পৃথিবীর একাট উন্নততম সাহিত্যইহ৷ সকলেই জানেন। সুতরাং,