পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ অক্ষয়-সুধা

জগৎপাতা জগদীশ্বরের এই সমস্ত অত্যাশ্চর্য্য অনির্বচনীয় কার্য্য পর্য্যালোচনা করিতে করিতে তাহার অচিন্ত্য শক্তি, অপরিসীম জ্ঞান ও অপার মহিমার সহস্র সহস্র সুস্পষ্ট নিদর্শন প্রতীত হয় ও তাহার প্রতি প্রগাঢ় ভক্তি ও পবিত্র প্রীতি সঞ্চারিত হইয়া, ভক্তজনের অন্তঃকরণ পরম পরিশুদ্ধ আনননীরে অভিষিক্ত হইয়া থাকে। সুশিক্ষিত ও অশিক্ষিত লোকের সুখের তারতম্য জ্ঞানের কি আশ্চর্য্য প্রভাব! বিদ্যার কি মনোহর মৃত্তি! বিষ্ঠাহীন মনুষ্যমনুষ্যই নয়। বিপ্তাহীন মনের গৌরব নাই। মানব-জাতি পশু-জাতি অপেক্ষায় যত। উৎকৃষ্ট, জ্ঞান-জনিত বিশুদ্ধ সুথ ইক্লিঙ্গ-জনিত সামান্য সুখ অপেক্ষা তত উৎকৃষ্ট। পৌর্ণমাসীর সুধাময়ী। জ্ঞানের মহিমা শুক্লঘামিনীর সহিত অমাবস্ত্যার তামসী নিশার যেরূপ প্রভেদ, সুশিক্ষিত ব্যক্তির বিদ্যালোক-সম্পন্ন সুচারু চিত্তপ্রাসাদের সহিত অশিক্ষিত ব্যক্তির অজ্ঞান-তিমিরাবৃত। হৃদয়-কুটীরের সেইরূপ প্রভেদ প্রতীক্ষ্মমান হ্য। অশিক্ষিত ব্যক্তি নিকৃষ্ট সুথে ও নিকৃষ্ট কার্য্যে নিবৃত থাকিয়ানিকৃষ্ট-স্থাধিকারী নিকৃষ্ট জীবের মধ্যে গণনীয় হয়, মুশিক্ষিত ব্যক্তি জ্ঞান-জনিত ও ধর্মোৎপাদ্য পরিশুদ্ধ সুখ-সম্ভোগ। করিয়া, আপনাকে ভূ-লোক অপেক্ষায় উৎকৃষ্টতর ভূনাধিবাসের উপযুক্ত করিতে থাকেন॥ এই উভয়ের মনের অবস্থা ও সুথের তারতম্য পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে, উভয়কে এক জাতীয় প্রাণী বলিয়া প্রত্যক্ষ হওয়া কঠিন।