পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| | পরিশিষ্টের পরিশিষ্ট। এখন এই জীবন-সংগ্রামের দিনে, ক্ষীণ প্রাণ ক্ষীণ শক্তি অল্পায়ু গানগণের পক্ষে সংক্ষেপে সার এবং সারাৎসার ধর্ম সাধন হওয়াই উচিত। এ সম্বন্ধে উত্তর গীতার শ্লোকটী উদ্ধত হইল - *অনন্তঃ শাস্ত্রং বহুবেদিতব্যং স্বল্পকালােৰহবশ্চ বিদ্যা। ৎসার ভূতং তদুপাসিতব্যং হংসাে যথা ক্ষীরমিবা মিশ্রিতম্॥অঃ ২” অর্থ-হে পার্থ! শাস্ত্র সকল ত অনন্তবৎ। বহুকালে বহু পরিশ্রমে বিদিত হওয়ার যােগ্য; কিন্তু জীবন কাল অতি সংক্ষিপ্ত, হার মধ্যে বােগাদি অনেক বিপ্নও আছে। অতএব হংস যেমন অমার নীর পরিত্যাগ করিয়া দুগ্ধের সার গ্রহণ করিয়া থাকে, সেইরূপ সর্বশাস্ত্রের সার সংক্ষেপে সংগ্রহ করিয়া সাধনা বা উপাসনা করা কর্ত্তব্য। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অনেক পরে শ্রীকৃষ্ণ মহাবীর অর্জুনকে উক্ত উপদেশ দিয়াছিলেন। ২। শুগলের বেদে অধিকার।-পুরাকালে শূদ্রের বেদে এবং বেদোচিত কর্মে যে অধিকার ছিল তাহার প্রমাণ যজুর্বেদে (অঃ ২৬২), যােগাবশিষ্ঠ রামায়ণে, মহাভারতের উমা মহেশ্বর সংবাদে, ভৃগু ভরদ্বাজ সংবাদে ও মনুসংহিতায় আছে। প্রাচীনকালে শূদ্রদিগের বিদ্যা শিক্ষার কোন ব্যবস্থা ছিলনা বলিয়া শূদ্রগণের ঐ অধিকার বলবতী এবং ফলবতী হইতে পারে নাই। অথবা ব্রাহ্মণগণের অসাধারণ বিদ্যা, তপঃ এবং স্বার্থ প্রভাবেই মূখ শূদ্রগণের ৰেদোচিত কর্মে অধিকার লাভ হয় নাই, এক মতে বলা যাইতে পারে। কিন্তু অতি প্রাচীনকালে কোনও শূদ্র সন্তান কোনও ব্রাহ্মণের কৃপায় বিদ্যা {সংস্কৃত) লাভ করিতে পারিলে, তিনি ব্রাহ্মণােচিত কর্মে অধিকার এবং ঋষিত্ব প্রাপ্ত হইতে পারিতেন এরূপ প্রমাণ আছে। কস - | -