পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান অর্থ সংগ্রহ করিতে হয় এবং কি করিয়া সেই সংগৃহীত অর্থ সকার্যে বায় করিতে হয়, তাহার এ বিষয়ে স্বভাবসিদ্ধ অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। অর্থনীতি বিষয়ে এইরূপ বিচক্ষণতা খুব কম লােকের ভিতর দেখিতে পাওয়া যায়। ব্রহ্মানন্দের ভিতর এই শক্তি থাকায় অতি অল্প দিনের মধ্যে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এত প্রবল ও দ্রুতগতিতে প্রসারণ করিয়াছিল। ব্রহ্মানন্দকে যদি একটা রাজ্য চালাইবার ভার দেওয়া যাইত, তাহা হইলে নিঃসঙ্কোচে বলা যায় যে, সে ঐ রাজত্ব অতি সুশৃঙ্খলভাবে চালাইতে পারিত। সৰ্বত্যাগী সাধু ও যােগীর ভিতর এই সব বিপরীত গুণাবলীর একত্র সমাবেশ অতীব বিরল। ব্রহ্মানন্দের ধীশক্তি – মঠ ও মিশনের প্রসারণ একদিন সকালে, মঠের উঠানে, আম গাছের নীচে, ব্রহ্মানন্দ ও আমি বসিয়া আছি, এমন সময় কোন ব্যক্তি বলিল, “সবই ত স্বামিজীর কীর্তি, অপরের এতে কিছু নেই।” ব্রহ্মানন্দ ইহাতে একটু মনঃক্ষুন্ন হইল, আমিও এই সকল কথাতে ব্যথিত হইলাম। সেই লােকটা চলিয়া যাইলে, ব্রহ্মানন্দ নিজের হাত দেখাইয়া আমাকে বলিতে লাগিল, “দেখ, আমি কিন্তু হাত দেখতে জানি। হাতের এইসব রেখা দেখছ ? এইসব রেখাতে রয়েছে যে, এই হাত দিয়ে লাখাে টাকা আসবে, তবে কিছুদিন পর। কারণ, এই রেখাটা এইখানে