অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১১৭ এইস্থলে ইহা জানা আবশ্যক যে, মন হইল – শক্তি প্রবাহ ; উহা যেরূপ স্নায়ুর ভিতর দিয়া প্রধাবিত হয়, চিন্তাধারাও তদ্রুপ হইয়া থাকে এবং যখন এই ধারা ঘনীভূত বা পুঞ্জীভূত হয়, তখন ইহা হইতে রূপ বা অবয়ব দৃষ্ট হয়। চলিত কথায়, ইহা হইল — নিজ ‘ই’ বা ‘অভীষ্ট দর্শন’ বা ‘ভাব দর্শন। বৈজ্ঞানিক মতে এই সকল হইল – ‘স্পন্দনবাদ’ বা Theory of vibration’এর কথা। সাধারণ অবস্থায় গুটিকতক স্নায়ু জাগ্রত বা সচেতন থাকে এবং অধিকাংশ স্নায়ু সুষুপ্ত, নিদ্রিত বা নিষ্ক্রিয় হইয়া থাকে। মৃত থাকে একথা বলা যায় না; কারণ মৃত হইলে পুনরায় উহাকে উজ্জীবিত করা যায় না। সেইজন্য ইহাকে সুষুপ্ত বলা যায়। জপ করিতে করিতে স্পন্দন যখন সমভাবে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে এক রেখায় প্রধাবিত হয়, তখন এক একটা সুষুপ্ত স্নায়ুজাগ্রত হইতে থাকে। প্রথম অবস্থায় পুঞ্জীভূত বা সমষ্টিবদ্ধ বিভিন্ন স্নায়ুসকল এককালে বা সমকালে প্রদীপ্ত হইয়া উঠে। সেইজন্য মনে যুগপৎ বিভিন্ন ভাবসমূহ জাগ্রত হয়। ইহাকে অসম্বদ্ধ বা অসংলগ্ন চিন্তাস্রোত বলা হয়। চিন্তাশীল ব্যক্তি এই সময় কিঞ্চিৎ আলােড়িত বা বিভ্রান্ত হইয়া পড়েন; কিন্তু স্থিরভাবে উপযুপরি চেষ্টা করিলে, আবশ্যক স্নায়ু উদ্বুদ্ধ হইয়া থাকে এবং অপর সকল স্নায়ুর স্পন্দন স্তন্ধীভূত হয়। এইরূপ হইলে চিন্তাশীল ব্যক্তি তাহা অনুভব করিতে পারেন। ইহা হইল প্রাথমিক অবস্থা। তাহার পর শক্তি যখন
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৩৩
অবয়ব