অজাতশত্রু শ্রমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৩ কিছু পয়সা থাকিলেই ‘পরমহংসের দোকানের নােন্তাখাবার আনিয়া খাইত এবং আমাকে বলিত, “দেখ ভাই! অন্য দোকানের চেয়ে এই ‘পরমহংসের দোকানের খাবার ভাল । বিকেলে ঐ দোকান থেকে খাবার এনে খেতে হবে।” এইরূপ ছেলেবেলায় আমরা সেই পরমহংসের দোকানের খাবার খাইতাম। লােকটী যথার্থ ই সাধু ছিলেন। তিনি ব্রত লইয়াছিলেন বলিয়া বিনা পরিশ্রমে অন্ন খাইতেন না, এইজন্য আমরা তাঁহাকে সম্মান করিতাম। রাখাল কাশীতে একবার শীতকালে সকালবেলা অনেক কচুরি আনাইয়া এবং ভাল চা তৈয়ার করাইয়া সকলকে খাওয়াইতেছিল। আমি একখানা কচুরি মুখে দিয়া বলিলাম, “বাঃ! কি সুন্দর কচুরি, কলকাতায় এমন কচুরি খাই নি !” রাখাল একট গম্ভীর হইয়া বলিল, “তুমি সিমলার কথা ভুলে গেছ ? কেন, সেই 'পরমহংসের দোকানের কচুরি মনে নেই ?” আমার তখন পূর্বকথা স্মরণ হইল। মনে ভাবিলাম, “হঁা, তাওত বটে। খিচুড়ি রাধা নরেন্দ্রনাথের পড়িবার জন্য সিমলা স্ট্রীটে একটী বাড়ী ভাড়া করা ছিল। নরেন্দ্রনাথ ও তাহার আলাপীরা সকলে একদিন খিচুড়ি রাঁধিয়াছিল। কড়াইশুটি ও আলু ভাজিয়া রাখিল ; চাউলগুলি একটু চমকাইয়া তাহাতে নানা প্রকার মসলা মাখাইয়া,
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৯
অবয়ব