পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান এবং সে অনেকক্ষণ মৌন হইয়া বসিয়া রহিল। খানিকক্ষণ পরে মনটা স্থির করিয়া সে কথা বলিতে লাগিল। পরমহংস মহাশয় তাহাকে কিরূপ ভালবাসেন, সেই বিষয় নানা ভাবের কথা কহিতে লাগিল। অপর যে ছেলেটী বসিয়াছিল সে ব্যঙ্গচ্ছলে দুই একটা কথা বলিল। আমি তাহাতে মনে মনে বড় বিরক্ত হইলাম ; কারণ রাখালের এই বিগলিত ভাব দেখিয়া আমিও অনেকটা অভিভূত হইয়াছিলাম। দেখিলাম, রাখালের পূর্বকার বালক ও চাপল্যভাব ক্রমে ক্রমে চলিয়া যাইতেছে এবং সে ধীর, শান্ত এবং পরমহংস মহাশয়ের নিতান্ত অনুগত হইতেছে ; কিন্তু তখন তাহার মহান্ ভবিষ্যতের বিষয় কিছুই বুঝিতে পারি নাই। কেবলমাত্র বুঝিয়াছিলাম যে, পরমহংস মহাশয় রাখালকে বােকা, ভাল মানুষ ও সরল ছেলে বলিয়া একটু বিশেষ ভালবাসিতেন এবং রাখাল পরমহংস মহাশয়ের প্রতি একটু বিশেষ আকৃষ্ট হইয়াছিল। নরেন্দ্রনাথের ডান হাতরূপে একবার ১১ই মাঘের কয়েকদিন পূর্বে নন্দ চৌধুরীর বাড়ীতে মাঘােৎসব উপলক্ষে এক সভা হইল। এখন সেই বাড়ী রাস্তায় পড়িয়াছে। রাজমােহন বসু উদ্যোগী হইয়া এই সভা করিয়াছিলেন। বৈকালে কেশববাবু ও পরমহংস মহাশয় আসিবেন শুনিয়া, রাখাল ও আমি বৈকালবেলায় নন্দ চৌধুরীর বাড়ীতে