৮০ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান নকল করিয়া, নাম স্বাক্ষর করিয়া বােম্বাই সরকারকে পাঠাইয়া দিলেন। তাহাতে তাহার বড় উপকার হইয়াছিল। দেওয়ান হরিদাস বিহারীদাস এতদিন মনে করিতেন যে, একটা র সাধু দুটী অন্নের জন্য পড়িয়া আছে। সেই সময় হইতে তিনি জানিতে পারিলেন যে, নরেন্দ্রনাথ ইংরাজী-জানা লােক এবং একজন বাঙ্গালী। সেই হইতে দেওয়ান হরিদাস বিহারীদাস নরেন্দ্রনাথকে বিশেষ শ্রদ্ধা-ভক্তি করিতেন এবং তাহার শিষ্যস্থানীয় হইয়াছিলেন। | তাপস রাখাল গুজরাটের নানাস্থানে অনেক তপস্যা করিয়া বােম্বাইয়েতে যাইবার সময় কালীপদ ঘােষের নিকট গিয়া থাকিয়াছিল। কালীপদ ঘােষ, পরমহংস মহাশয়ের বড় ভক্ত ছিলেন এবং গিরিশবাবুর পরম বন্ধু ছিলেন। জন্ ডিকিন্সনের ( John Dickinson-এর) আফিসের তিনি কর্তা ছিলেন। তঁাহার প্রাণটা বড়ই উদার ছিল ; অকাতরে দুই হাতে দান করিতেন। তিনি লোকজনকে খাওয়াইতে বড় ভালবাসিতেন। সঙ্কোচ বা দ্বিধাভাব তাঁহার মােটেই ছিল না। তাহার নির্ভীকতা ও মুক্তহস্তে দান দেখিয়া নরেন্দ্রনাথ তাঁহাকে ‘দানাদত্যি’ ( দানব, দৈত্য) শ্রেণীর ভিতর ফেলিত। তদবধি তিনি পরমহংস মহাশয়ের ভক্তমণ্ডলীর ভিতর ‘দান-কালী বলিয়া অভিহিত হইতেন। তাপস রাখালকে ‘দানা-কালী খুব যত্ন করিয়া রাখিয়াছিলেন। রাখাল বােম্বাইয়ের অন্যান্য অনেক স্থানেও গিয়া থাকিয়াছিল এবং তাহার সহিত অনেকের
পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৯৬
অবয়ব