পাতা:অদ্ভুত ফকির - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অদ্ভুত ফকির।
১৭

কিছুই সাহায্য পাইলাম না। এখন আমার আন্তরিক ইচ্ছ। এই যে, এখান হইতে সমস্ত লোককে স্থানান্তরিত করিয়া দাও। সকলের সাক্ষাতে এ কার্য্য হইতে পারে না।”

 আমার কথা শেষ হতে না হইতে গৌরীশঙ্কর ও আবদুল কাদের ভিন্ন অর সকলেই সে স্থান হইতে চলিয়া গেল। তখন আবদুল আমার দিকে চাহিয়া অতি বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “হুজুর! আমার সন্ধানে একজন লোক আছে, সে এইরূপ চিহ্ন দেখিয়া অনেক কথা বলিতে পারে। তাহার চক্ষের জ্যোতি এত তীক্ষ যে, যেখানে আর কোন লোক, এমন কি, যন্ত্রের সাহায্যেও কিছুই দেখিতে পায় না, সে সেইখানে কেবল চর্ম্মচক্ষে অনেক বিষয় দেখিতে পায়। হুজুরের যদি হুকুম হয়, তাহা হইলে আমি তাহাকে এখনই এখানে ডাকিয়া আনি।”

 আবদুল কাদেরের কথা সত্য বলিয়া বোধ হইল। আমি জানিতাম, ভারতের সিন্ধু-প্রদেশে এমন অনেক লোক আছে, যাহারা পুরুষানুক্রমে এই কার্য্য করিয়া জীবিকা উপার্জ্জন করিয়া থাকে। পুলিসের কার্য্যে বিশেষতঃ গোয়েন্দা পুলিসের অনুসদ্ধানের সময় তাহাদের মত লোকের বিশেষ প্রয়োজন হইয়া থাকে। আমিও ইতিপূর্ব্বে দুই একবার ঐরূপ লোকের সাহায্য গ্রহণ করিয়াছিলাম।

 আবদুলের কথা শুনিয়া আমি মনে মনে সন্তুষ্ট হইলাম এবং তখনই তাহাকে ডাকিয়া আনিতে আদেশ করিলাম।