পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । 5. לא י বাহিরে গঠন করিয়া লইবে, নয় শূন্য ব্রহ্ম শব্দেভে আচ্ছন্ন হইয়া নাস্তিকতা ও অভিমান প্রকাশ করিবেক । অনেক ব্রাহ্ম কহেন যে, “ ব্রাহ্মধর্ম্মের শিক্ষণ এমত সহজ যে, মানব তই অশিক্ষিত হউক, প্রত্যেকের হৃদয়ে উহা অবাধে স্থান প্রাপ্ত হয়, এবং যাহার। বিদ্যা এবং সমাজসংস্কার রূপ প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বিচরণ না করে, তাহারদিগেরই মধ্যে ঐ শিক্ষা অধিক শক্তি লাভ করে ।” বিদ্যা ও সমাজ ংস্কারের অভিমান ও আড়ম্বর ব্রহ্মোপাসনার ভয়ানক প্রতিবন্ধক বটে, কিন্তু আমরা একথা স্বীকার করিতে পারি না যে, ব্রহ্ম-ধর্ম্মের শিক্ষা এত সহজ যে এদেশের ইতর লোকেরা তাহা অনায়াসে ধারণ করিতে পারে । . ব্রাহ্মধর্ম্মের যে শিক্ষা তত সহজ, অর্থাৎ ভক্তি, দয়া, প্রভূতি, তাহা ব্রাহ্মধর্ম্মের প্রধান সত্যকে প্রকাশ করে না-অর্থাৎ ব্রহ্ম একমেবাদ্বিতীয়ং এবং রূপ-নাম দি-বিবর্জিত এই মহৎ সত্য, এই . পরমভাব, ব্রহ্মজ্ঞান বিনা প্রকাশিত হয় না । ব্রহ্মজ্ঞান বহু যত্নে লাভ হয় । ব্রহ্মজ্ঞান বিনা ভক্তি পঙ্গু, বিশ্বাস অন্ধ, এবং ধর্ম্মমত পৌত্তলিকতা মাত্র । যদি বল, তাহতে ক্ষতি নাই, তাহা হইতে সাধকের ক্রমোন্নতি হইবেক । ইহাতে আমারদের উত্তর এই যে, সেই সাধকের মনে পূর্বে যে পৌত্তলিকতা ছিল তবে তাহা কি দোষ করিল ? ব্রাহ্মধর্ম্মের শিক্ষা দ্বারা তাহার অধিক কি লাভ হইল ; ভক্তি, দয়া, প্রভৃতির শিক্ষা কি পৌত্তলিকতায় নাই ? সেই সকল সাধারণ শিক্ষা সকল ধর্ম্মেই আছে, তাহার জন্য ব্রাহ্মধর্মের গৌরব নহে ; কিন্তু ব্রহ্মজ্ঞানের জন্য। ব্রাহ্মধর্মের বিশেষ S」