পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড S)이 রছিলেন; তখন সকলেই আনন্দিত হইয়া তাহাকে ; যেখানে শয়ন কৰিয়াছিলেন, গুহের সহিত সেইখনে "সাধু সাধু বলিয়া প্রশংসা করিতে লাগিল। পর গমন করিলেন ; এবং কুশাস্তৃত শয়নস্থল দর্শন দিন প্রভাতে ভরত, রামকে আনয়ন করিবার জন্য গমন করিলেন; মুমন্ত্র-প্রেরিত সকল সৈন্তগণ হস্তী অশ্ব সমভিব্যাহারে তাহার অনুগমন করিলে কৌসল্যা-প্রভৃতি রাজপত্নীগণ, বলিষ্ঠ-প্রমুখ ব্রাহ্মণগণ সকলে পৃথিবী আবৃত করিয়া ভরতের পশ্চাতে, পার্থে ও সম্মুখে যথাযোগ্যভাবে গমন করিতে লাগিলেন। অনস্তর, শত্রুঘ্ন-পরিপালিত সুবিশাল সেনাদল গঙ্গাতীরস্থিত শৃঙ্গবের পুরে গমন করিয়া করিলেন ; দেখিলেন ;-কঠোর শষ্যায় পার্শ্বপরি. বর্তনে জানকী-পরিহিত অলঙ্কারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুবর্ণ খণ্ড তাহাতে নিপতিত রহিয়াছে । ভরত তদর্শনে দুঃখ-সন্তপ্তচিত্তে বিলাপ করিতে লাগিলেন ; ওঃ! অতি-কোমলাঙ্গী জনকতনয়া সীতা,-যিনি সাদোপরি রত্ন-পর্যাস্কে শুভ কোমল-শয্যাতে রামের সহিত শয়ন করিতেন ; তিনি আমারই দোষে রামের সহিত অতি-ক্লেশে কুশ-শয্যায় শয়ন চতুর্দিকে শিবিরস্থাপন করিল ; ভরত আসিয়াছেন | করিতেছেন কিরূপে ? আমাকে ধিক্ । যেহেতু শুনিয়া গুহের মনে আশঙ্কা হইল যে, “ভরত, বৃহৎ সৈন্য দল সমভিব্যাহারে উপস্থিত ; অবিদিত-বৃত্তান্ত ঐরামের অনিষ্ট করিতে যাইতেছেন না ত ? “যাহ হউক, ঘাইয় তাহার মন বুঝিয়া আমি, যদি বিশুদ্ধ. হন ত গঙ্গা পার হইতে পারিবেন ; নতুবা আমার জ্ঞাতিগণ—সশস্ত্র ও সাবধান হইয়া চতুর্দিক অবলোকন করত নৌকা-সকল আকর্ষণ করিয়া রাখিবে ।" ইহা সকলকে চাদেশ করিয়া গুহ, ভরত-সন্নিধানে উপস্থিত হইল। গুহ নানাবিধ উপটৌকন গ্রহণ করিয়া বিবিধ আয়ুধসম্পন্ন বহুতর জ্ঞাতিগণের সহিত ভয়তনিকটে গিয়াছিল । ভরতের সম্মুখে সেই সকল উপঢৌকন স্থাপন করিয়া চতুর্দিকে দৃষ্টি, পাত করিল ; অনস্তর দেখিল; সানুজ ভরত মন্ত্রিগণে পরিবৃত হইয়। আসীন ; তাহার পরিধানে চার বস্তু, বর্ণ-মেঘবং শুম, মস্তকে জটাভাররূপ কিরাট ; তিনি সর্ব্বদ “রাম রাম’ ধ্বনি এবং রামের জন্যই শোক করিতেছেন; ভুতল-লুষ্ঠিত-মস্তকে তাহাকে প্রণাম করিলেন এবং বলিলেন । আমি গুহ ; ভরত তাহাকে শীঘ্র উঠাইয়া সাদরে গাঢ় তালিঙ্গন ও অনাময় প্রশ্ন করিলেন ; অনস্তর ধীর ভাবে সখাকে এই কথা বলিলেন;–“ভ্রাতঃ ! তুমি এইখানে রাঘবের সহিত মিলিত হইয়া অবস্থিত ছিলে এবং নির্ম্মল-হৃদয় রাম, তোমাকে সজল নয়নে আলিঙ্গন করিয়াছিলেন। তুমি যখন সীত-লক্ষ্মণ-সঙ্গী-কমলদল-লোচন রামের সহিত কথোপকথন করিয়াছ, তখন তুমি ধন্য ; তুমি কৃতকৃতার্থ হইয়াছ ; হে মুত্রত ! তুমি প্রথম রামকে যেখানে দেখিতে পাইয়াছিলে, আমাকেও সেইখানে লইয়া চল; এবং রাম, সীতার সহিত যেখানে শয়ন করিয়াছিলেন, তাহ আমাকে দেখাও। তুমি ভাগ্যবানু রামের প্রিয়তম ভক্ত” এইরূপে তরত অশ্রু পুর্ণনয়নে বারবার রামন্মরণ করত রাম রাত্রিতে করিলেন । আমি মূর্ত্তিমানূ-পাপ-রাশি-সদৃশ কৈকেয়ী-গর্ভে উৎপন্ন হইয়াছি ; আমার জন্যই পরমাত্মা রামের এই ক্লেশ। ওঃ ! মহাত্মা লক্ষ্মণের অতি সফল জন্ম ; কারণ তিনি দুঃচিত্তে সর্ব্বদাই রামের অনুগত। র্যাহার রামদায়, আমি যদি ষ্টাহাদিগের দাস-দাস হই, তাহা হইলেই আমার জন্ম সফল হয় ; সংশয় নাই। ভাই! রাম যেখানে আছেন, তাহা জান যদি,—তাহা হইলে সে সকল বিবরণ আমাকে বল ; আমি তঁাহাকে সত্বর অনিয়ন করিতে গমন করি । গুহ, তাহাকে অকপট-চিত্ত জানিয়া সক্ষেহে বলিতে লাগিল ;–“দেব ! তুমিই ধন্ত, যেহেতু, কমল-দললোচন রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের প্রতি তোমার ঈর্শ ভক্তি। চিত্রকূট গিরি-সন্নিধানে মন্দাকিনীর অনতিদূরে মুনিগণের আশ্রম সমীপে, রাম, অনুজ ও সীতার সাহিত অবস্থিতি করিতেছেন ; ফল মূলাদির আতিশয্যপ্রযুক্ত প্রভু তথায় মুখে আছেন। “অহে! আমরা সেখানে যাইব; এখন গঙ্গা পার হইতে হইবে।” এই বলিয়া তখন সসৈন্যভরতের গঙ্গা মহানদী পার হইবার জন্য সত্বর গমনে পঞ্চশত নৌকা আনয়ন করিল ; এবং গুহ আপনি একপানি রাজেচিত নৌকা আনয়ন করিল। তাহাড়ে ভরত,শত্রুঘ্ন,কেীসল্যাওবসিষ্ঠকে এবং অন্ত নৌকাতে কৈকেয়ী ও অপরাপর রাজপক্টাদিগকে তুলিয়া । নেীক পার করিতে লাগিল। ভরত সসৈন্তে শীঘ্র গঙ্গাপার হইয়া ভরদ্বাজ শুমাভিমুখে যাত্রা করিলেন, 'অনন্তর মহতী সেনা দূরে রাখিয়া অনুজ-সমভি. ব্যাহারে আশ্রম-প্রবেশ করিলেন। আশ্রম মধ্যে জলন্ত অনলের স্থায় মুনিকে আসীন দেখিয়া, ভরত, অতি ভক্তিভাবে সাষ্ট্রাঙ্গে তাহাকে নমস্কার করিলেন। মৌনাবলম্বি শ্রেষ্ঠ ভরদ্বাজ, তাহাকে দশরথ-নন্দন জানিয়া প্রীক্তিপূর্বক সম্মান প্রদর্শন "াহাকে জটা বস্থল-ধারী দেখিয়