পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ২৬৯ পারে অথচ করবার উৎসাহ থাকে সেইটি যদি অপরে করে তোলে তবে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। তার মধ্যে সে যেন নিজের অস্ফুট ছবি প্রতিবিম্বিত দেখতে পায়। অনেক সন্ধ্যায়, অনেক প্রভাতে, অনেক মধ্যরাত্রে প্রকৃতি আমাদের হৃদয়ের দ্বারে নানা প্রকার ভাবের অনুপ্রেরণা ধ্বনিত করে’ তোলে—কিন্তু তা প্রকাশযোগ্য নয়, অনুভবের মধ্যেই তা বিলীন । কিন্তু সেই রকমের অনুভব যদি আমরা দেখতে পাই ভাষায় ছন্দে মূর্ত্তিমান হয়ে উঠেছে কবির কাব্যে, তবে সে কবিতা আমাদের বড় ভাল লাগে এবং নিষ্কারণে আমরা সেই কবিকে ভালবাসি । এই জন্য কবিরা যত আমাদের হৃদয় অধিকার করতে পারে এমন আর কেউ নয় । গভীর গবেষণার শক্তিতে, গভীর বিশ্লেষণের তীক্ষু বুদ্ধিতে আমরা বিস্মিত হই, আমরা অনুভব করি সেই বুদ্ধির মহত্ত্ব, কিন্তু তাকে তেমন করে আপনার বলে’ মনে করতে পারি না যেমন আপনার বলে’ মনে করতে পারি সেই কবিকে যে আমাদের হৃদয়ের একটি ছবিকে ফুটিয়ে তুলতে পারে তার ভাষার মধ্যে । হঠাৎ প্রভা আবিষ্কার করেছিল যে তার মনেও সে যেমন একটা আবেগ অনুভব করে, তেমনি একটা অনুভব দেখা দিয়েছে সুজাতার মনে এবং সে তাকে দিয়েছে একটা বিস্ময়কর ও উত্তেজক রূপ। এই আবেগ যখন কারও মনে ফুট হয়ে । উঠে অভিসন্ধিরূপে প্রকাশ পায় এবং এই অভিসন্ধি অনুসারে যখন : কেউ আপনাকে প্রকাশ করতে গিয়ে অসমর্থ হয়ে নিজের নূ্যনতা বোধ করে, তখন সেই বিষয়ে যে সক্ষম হয়েছে সেই ব্যক্তির উপর তার মনে হ’তে পারে ঈর্ষ্য । কোনও একটা বহির্বস্তুকে যখন আমরা অঁাকড়ে ধরতে চাই অথচ পারি না, মনের দখলিস্বত্ব তার উপর বিস্তার করি কিন্তু সত্যভাবে তার নাগাল পাই না, তখন সেই রকম