পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ՋԳշ যেন একটা উৎসবের ধারাবর্ষণ । তাই স্বকুমারের মন অনেক সময় খুঞ্জত বিশ্রামের স্বচ্ছতা ও অনায়াস আনন্দ । আজ প্রভার সঙ্গ পেয়ে তার মনে হ’ল যে প্রভা এমন একটি মেয়ে যার কাছে থাকলে চিত্ত উত্তেজনায় কণ্টকিত হয় না, পায় বিশ্রাম । প্রভার মধ্যে বুদ্ধির সে তীক্ষতা নেই যার জন্য মনকে সর্ব্বদা থাকতে হবে সজাগ হয়ে, বর্ম্ম এটে, যে রকমটা ঘটত সুজাতার সান্নিধ্যে । প্রভার মধ্যে ঘোরপ্যাচ নেই, পত্রদলের নানা আবরণের মধ্য থেকে সে কদাচিৎ তাকে ব্যক্ত করে না, উগ্র গন্ধে সকলকে আক্লষ্ট করে’ও দুর্গম কণ্টকাবরণের মধ্যে থেকে সে করে না আত্মরক্ষা । তার সম্পদও কম, সামর্থ্যও কম, কিন্তু তার যেটুকু আছে তা ব্যক্ত হয় অবিলম্বে । তার মধ্যে কি স্বাভাবিক, কি কৃত্রিম, কোনও রকমের দুর্গমতা নেই। সে পদ্মও নয়, কেতকীও নয়, সে শিথিলবৃন্ত শেফালি । তাই প্রভাকে মুকুমারের বড় ভাল লাগল । তার ক্লান্ত মনের পক্ষে প্রভা এল যেন নবনীতপ্রলেপ । সে প্রভাকে বল্লে—“এখনই ত সন্ধ্যা হয়ে এল, আপনার বাডী কত দূরে ?” & প্রভা ঈষৎ চিন্তিতভাবে বল্লে—“বাড়ী ত সেই বালিগঞ্জের এক কোণে, সে এখান থেকে ত বেশ খানিকট। দূর হবে । মনে করেছিলাম সন্ধ্যার পূর্বেই বাড়ী ফিরতে পারব।” সুকুমার বল্লে—“আমার ঐদিকে একটু কাজ আছে । চলুন, আপনাকে আমি নিজেই রেখে আসি অমনি আপনার বাড়ীটাও দেখে আসব ।’ এই বলে’ প্রভাকে নিয়ে সে বেরিয়ে পড়ল তার মোটরে । লেকের চারিপাশে দু’চার পাক ঘূর্ণ দিয়ে সন্ধ্যাসন্ধ্যি সে রেখে এল প্রভাকে তার বাড়ীতে। প্রভার সঙ্গে তার যাতায়াতের বিচ্ছেদ হ’ল না, কিন্তু