পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ఇ8 অধ্যাপক সাজঘরের মধ্যে এসে এমন হুল্লোড় বাধিয়ে দেয় যে তার ফলে রঙ্গমঞ্চ পর্য্যন্ত ওঠে কেঁপে । কোন অনীমিত অভিনেতাকে তুমি হয় ত জোর করে পাঠিয়ে দিতে পার পিছনে কিংবা সে আপনিও চলে যেতে পারে । কিন্তু রঙ্গমঞ্চের পিছনে, সাজঘরে বা সাজঘরেরও পিছনে কি যে ব্যাপার চলেছে তা রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা বা প্রহরী কেউ জানতে পারে না বা তাদের টেলিফোন করেও কেউ সে কথা জানায় না । সেখানকার আইনকামুন, নিয়মপদ্ধতি তাদের অজানা । সেখানে যারা জোর করে’ আটক হয়েছে তারা কে কখন বলবান হয়ে দখল করে’ বসবে সাজঘর ও রঙ্গমঞ্চ, আহত করে দেবে প্রহরীকে, তা কেউ বলতে পারে না। যে মূল প্রোথিত হয়ে রয়েছে মাটির মধ্যে সে কোন ঋতুতে কি ভাবে উঠবে উদ্ভিন্ন হয়ে তা বলা যায় না। আবার অনেক সঙ্গী এমন আছে যার মূলই যথেষ্ট, সে অজ্ঞাতভাবে মাটির তলে থেকেই সেই মাটির উপরকার সব ফসল দেয় নষ্ট করে । আমাকে নিয়ে যে ফসল তুমি তুলতে চাও তোমার নূতন বাগানখানায়, তার সমস্ত ফসল যদি অসম্ভব করে দেয় তার মাটির নীচের মূল, তখন কি করে তুমি পাবে তার হাত থেকে রক্ষা ?” স্বকুমার বল্লে—“আমার ইচ্ছার বাইরে, আমার শক্তির নাগালের বাইরে যদি জোর করে কিছু আমার মনের মধ্যে আসে তা হ’লে সে সম্বন্ধে আমি কি করতে পারি ? শুধু যার মূল ছিল তার সম্বন্ধেই যে ভয় তা ত নয়, যদি কোনও নূতন জিনিষ এসে মূল বিস্তার করে তবে আমন না-জানা ভবিষ্যতের কথা আমি কি করে’ বলতে পারি ?” মঞ্জরী বল্লে—“সে ত ঠিকই । দুর্ভাবনার ত শেষ নেই । কিন্তু সকল দুর্ভাবনা নিয়ে ভাবনা করলে কোনও কাজই করা চলে না । তবে কোনও পাত্রে জল ভরতে গেলে দেখা চাই অন্তত: তখন কোনও