পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిపి " অধ্যাপক আপত্তি করবেন তা অবিনাশবাবু কখনও গুছিয়ে বলতে পারতেন না, কারণ বিপদের সম্পূর্ণ প্রকৃতিটা তার কিছুমাত্র জানা ছিল না। অথচ পিতাকে সুখী করবার জন্য অবিনাশবাবু যে কোন স্বার্থ-ত্যাগ করতে পারতেন, পিতার চোখের একবিন্দু জল অবিনাশবাবুর বক্ষ শেলের স্যায় বিদ্ধ করত । অবিনাশবাবুর জীবনে এল একটা তুমুল বিপর্য্যয় । অবিনাশবাবু এতাবৎকাল থাকতেন সম্পূর্ণরূপে চাকরদের আয়ত্ত ও ইয়ত্তার মধ্যে । কি খেলেন, কোথায় শুলেন, সে বিষয়ে কিছুমাত্র তার লক্ষ্য ছিল না । টাকা পয়সা প্রায়ই থাকত বালিশের নীচে, অকারণে কখন যে টাকার থলি লঘু হয়ে যেত তা তার খেয়াল থাকত না। জিনিষপত্র গোছালো থাকত কি আগোছালো থাকত তার প্রতি র্তার কোনও দৃষ্টি ছিল না। সহকারী ছিল দু’তিনজন, তারাও তাদের কাজ করত কিনা সে বিষয়ে তিনি তদারক করতে পারতেন না। শুধু প্রয়োজনের সময় যদি একটা বই না পাওয়া গেল তখন হঠাৎ উঠতেন একেবারে রেগে । পরিচ্ছদের তার কোনও নিয়ম ছিল না। চুল যখন এক বিঘতকে অতিক্রম করত তখন তার খেয়াল হ’ত যে নাপিত ডাকান প্রয়োজন । এমনি করে’ বাহ্যিক সমস্ত ব্যাপারে তিনি ছিলেন একান্ত শিথিল । এমন সময়ে তার অন্তঃপুরে প্রবেশ করলেন তরুণী রূপসী । এই বিবাহ ব্যাপারটা তার জীবনে কি বিপর্য্যয় ঘটাতে পারে সে সম্বন্ধে তার কোন খেয়াল ছিল না, তাই তিনি একবারও একথা মনে করেন নি যে বিবাহের পূর্ব্বে একবার পরখ করে নেওয়৷ দরকার যে কি রকম মেয়ে তার সঙ্গিনী হ’তে পারে । তিনি মনে মনে জানতেন যে তিনি দূরপথের যাত্রী, সে পথে তার বন্ধু বা বান্ধবী কেউ নেই। তাই স্ত্রী যে হবেন জীবনসঙ্গিনী, সহধর্ম্মিণী,