পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8Q> أبيني ওঠে না । সে বাজনা বাজাতে কোনও শিল্পীর প্রয়োজন হয় না, যে কেউ ছুলেই তা ওঠে বেজে । তাই সে বাজনাকে আত্মীয় করে? রাখা কঠিন । আর যে যন্ত্রে লাগে কৌশল বাজাতে, সে চিরদিনই হয়ে থাকে যন্ত্রীর ধন, কেউ অপহরণ করলেও পারবে না তাকে বা জগতে । অনেক সময় এমন থাকে যন্ত্রে যন্ত্রে লয় এবং মিলন যে ঘরের এক প্রান্তে একটি বাজনা বেজে উঠলে ঘরের অপর প্রাস্তের যন্ত্রটিরও তারগুলি বেজে ওঠে সেই মুরে । সে বাজনাকে ছোবারও দরকার করে না, তার সহধর্ম্মী স্বরের ঝঙ্কাব উঠলে তাতে আপনিই ওঠে ঝঙ্কার । আমাকে যখন পারলে না তখন তুমি এমন একটা বাজনায় দিতে গেলে হাত যা সকলের ছোওয়াতেই ওঠে বেজে । তাই সে যন্ত্রটির পিছনে জীবন খুইয়ে ফেললে কিন্তু তাকে লাভ করতে পারলে না । সে নানা হাতে বেজে বেডাচ্ছে, এখন উঠেছে পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে ।” সুকুমার বল্লে—“আমাকে এত তিরস্কার করে কি লাভ ?” সুজাতা বল্লে—“তোমাকে আমি তিরস্কার করতে চাই না । কিন্তু তুমি কখনও চেয়ে দেখ না কোনও দিকে –কি নিজের দিকে, কি পরের দিকে । এই চেয়ে দেখাটা নিতান্ত প্রয়োজন হয়েছে তোমার নিজেকে বোঝবার জন্য এবং অপরকে বোঝবার জন্য । এ যদি তুমি না কর তবে ঘটবে তোমার বিষম বিপদ, জীবনটা হবে চুর্ণবিচূর্ণ।” শুকুমার বল্লে—“চুর্ণবিচূর্ণ হতে আর বাকী কি আছে ?” স্বজাত বল্লে—“মাচুষের জীবনের মধ্যে অতীত ও ভবিষ্যতের তুলনায় যদিও বর্তমান অতি সামান্য ক্ষণ মাত্র, তথাপি চেতনার দ্বারা অনুপ্রবিষ্ট বলে সে বর্তমানের একটা সর্ব্বাভিভাবী ব্যাপকতা আছে । আজ যে দুঃখ পাওয়া গেল, মনে হয় জীবনে আর এমন