পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8S टै অধ্যাপক আনুশাসনিক মতে । যুক্তির তীক্ষতা তার ছিল কিন্তু সে যুক্তিকে সে প্রয়োগ করত তার আনুশাসনিক নিয়ম অনুসারে । চিন্তাশক্তি, আকুশাসনিক কর্ত্তব্যবোধ, কর্ম্মের মধ্যে জীবনের সাফল্যলাভ, এ সমস্তই তার ছিল, কিন্তু তারা যেন ছিল পৃথক পৃথক প্রকোষ্ঠে । সমস্তগুলি মিলিত হয়ে চেতনাশক্তির একটা শশসালো সত্যে তা পরিণত হয়ে উঠতে পারে নি, আসতে পারে নি তা একটা সামঞ্জস্তে । তাই তার আপন অন্তরের স্থষ্টি নিরস্তর ব্যাহত হ’ত আপন অন্তরের মধ্যে, তা সব সময় প্রকাশ করতে পারত না তার সমস্ত ব্যবহারকে একটা সঙ্গতির রূপে । স্বজাত বাল্যকালে তার পিতার নিকট শুনেছিল—আত্মানং বিদ্ধি । কানাইয়ের কাছে সে শুনেছিল—আত্মাকে প্রকাশ কর । অধ্যাপকের উপদেশে ও সান্নিধ্যে, তার জীবন্ত আদর্শে ও তার স্বাভাবিক আত্মাবিষ্কারের চেষ্টায় সে বাধতে পেরেছিল এই দু’টি মন্ত্রকে একটি ছন্দের মধ্যে । তাই তার অস্তজীবনে দ্বন্দ্বকে অতিক্রম করে’ সহজ আনন্দে করতে পারত সে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত। যৌবনের আস্বাদ কানাইয়ের ঘটেছিল জীবন তৈরী হয়ে উঠবার পূর্ব্বেই। মঞ্জরী তাকে দীক্ষিত করেছিল একটা নূতন উত্তেজনায় । মঞ্জরীর ঘুম কানাই ভাঙ্গায় নি, কানাইয়ের ঘুম ভাঙ্গিয়েছিল মঞ্জরী । জীবনে প্রথম যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন যৌবনের পাত্র ভরে উচ্ছলিত হয়ে ওঠে নবীন স্বরার আস্বাদ, নবীন আমিষের আস্বাদ । তারপর অনেকেরই জীবনে বেড়ে যায় এই আস্বাদের লোভ। মেয়েদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পথে যে সব সঙ্কোচ এসে একটা লজ্জা ও জড়িমা , এনে দেয়, তাদের ব্যবহারে সে সব হয় অপস্থত । তখন ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে তারা শিকারে দক্ষ । তখন মামুষে বাঘিনীতে ৰাধে লড়াই,