পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

UV) অন দি ভলগা অর্থ খুব ভাল বুঝবি, কিন্তু মানুষ- তাদের কাছে কোন মূল্যই নেই এর । তাদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠ তারাও তোর মতো ভালবাসতে পারে না । সে যখন আমায় ছেড়ে চলে গেল,-তখন নিজেকে বোঝালাম মানুষের কাছ থেকে কেউ যেন কিছু প্রত্যাশা না করে। নিঃসঙ্গ জীবনকে বরং গর্বের সঙ্গে বরণ করা ভাল, তবু মানুষকে কাছে ঘোষতে দিতে নেই। সব মানুষই স্বার্থপর আর বিশ্বাসঘাতক-তারা কেবল চায় ভোগের আনন্দ আর ऐछ6ख्छन । “চিরদিন যা ঘটেছে আমার এই কাহিনী ঠিক তেমনি মামুলি গল্প। উঃ ! শেষ পর্যন্ত নিজেকে এই বলে সাস্তুনা দেওয়া যে কি পীড়াদায়ক তা তােকে কেমন করে বােঝাবাে। টম। এ ব্যাপারে বিশ্বস্ততাই হল মেয়েদের সমস্ত জীবনের কেন্দ্র। আমরা প্রত্যেকেই,-সত্যি করে যার মধ্যে মানুষেরু প্রাণ আছে- দীর্ঘ রজনী ভরে নীরবে এই বিশ্বস্ততার স্বপ্ন দেখি । ‘তারপর তোর কথা মনে পড়ল। তখন নিজেকে বললাম,-টম অন্ততঃ আমায় কোন দিন প্রতারণা করবে না, শেষ নিঃশ্বাসটুকুও হয়ত আমার জন্যই ব্যয় করবে-আমার শত্রুর টুটি কামড়ে তাকে নিঃশেষ করতে চেষ্টা করবে, আর তা নয় তো শেষ পর্যন্ত আমার জন্যই প্রাণ বিলিয়ে দেবে।’ পালিকার মুখের সামনে টম আনন্দে উচ্চৈঃস্বরে ঘেউ ঘেউ করে ডেকে ওঠে। তারপর গর্জাতে গর্জাতে দরজাটা পর্যন্ত ছুটে গিয়ে আবার নিজের কম্বলটার উপরে এসে বসে পড়ে। তার ভাব দেখে মনে হয় যেন পালিকার ঈঙ্গিত পেলেই সে যে কোন লোককে লাফিয়ে গিয়ে আক্রমণ করবে। ‘বিশ্বাসী বন্ধু আমার, আয় আমরা চিরজীবনের জন্য প্রতিজ্ঞা করি, মৃত্যুর আগে কেউ কাউকে পরিত্যাগ করব না। কেমন মত আছে ? দে তোর থাবাটা আমার হাতে তুলে দে-সঙ্গে সঙ্গে তোর স্বীকৃতিও।” পালিকার প্রসারিত হাতখানার উপর টম আনন্দে তার থাবাটা তুলে দেয়।