পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগ্ন থাকিত-সে। ঐ রকম হইতে চায়। ‘বীজগণিত’ কি জিনিস ? সে বীজগণিত পড়িতে চায় রস্কোর মত। সে এই হাতে লেখা লিখিতে চায় না, ধারাপাত কি শুভঙ্করী এসব তাহার ভাল লাগে না। ঐ রকম নির্জন গাছতলায়, বনের ছায়ায়, কি বেড়ার ধারে বসিয়া বসিয়া সে ‘‘ভূচিত্র’ (জিনিসটা কি ?) পাতিয়া পড়িবে, বড় বড় বই পডিবে, পণ্ডিত হইবে ঐরকম। কিন্তু কোথায় পাইবে সে সব জিনিস ? কোথায় বা ‘ভৃচিত্র’, কোথায় বা ‘বীজগণিত’, কোথায় বা লাটিন ব্যাকরণ ?—এখানে শুধু কডি কষার আর্য আর তৃতীয় নামত । মা বকিলে কি হইবে, যাহা সে পডিতে চায়, তাহা এখানে কই ? পথের পাচালী চতুবিংশ পরিচ্ছেদ কয়দিন খুব বর্ষা চলিতেছে । অন্নদা রায়ের চণ্ডীমণ্ডপে সন্ধ্যাবেলায় মজলিস বসে। সেদিন সেখানে নীলকুঠীর ভূতের গল্প হইতে সুরু হইয়া পুরীর কোন মন্দিরের মাথায় পাঁচ মণ ভারী চুম্বক পাথর বসানো আছে, যাহার আকর্ষণের বলে নিকটবর্তী সমুদ্রগামী জাহাজ প্রায়ই পথভ্রষ্ট হইয়া আসিয়া তীরবর্তী মগ্ন শৈলে লাগিয়া ভাঙিয়া যায় প্রভৃতি-আরব্য উপন্যাসের গল্পের মত নানা আজগুবি কাহিনীর বর্ণনা চলিতেছিল। শ্রোতাদের কাহারও উঠিবার ইচ্ছা! ছিল না, এরকম আজগুবি গল্প ছাড়িয়া কাহারও বাড়ী যাইতে মন সরিতেছিল। না। ভূগোল হইতে শীঘ্রই গল্পের ধারা আসিয়া জ্যোতিযে পৌছিল। দীনু চৌধুরী বলিতেছিলেন-ভৃগু সংহিতার মত অমন বই তো আর নেই। তুমি যাও, শুধু জন্মরাশিটা গিয়ে দিয়ে দাও, তোমার বাবার নাম, কোন কুলে জন্ম, ভূত-ভবিষ্যৎ সব বলে দেবে-তুমি মিলিয়ে নাও-গ্রহ ও রাশিচক্রের যত রকম ইচ্ছে হয়-তা সব দেওয়া আছে কি না ! মায় তোমার পূর্বজন্ম পর্যন্ত সকলে সাগ্রহে শুনিতেছিলেন, কিন্তু রামময় হঠাৎ বাহিরের দিকে চাহিয়া বলিলেন-না ওঠা ষাকৃ, এর পর আর যাওয়া যাবে না-দেখচো না BBDBB S DDDB DB DDBD D DD BB DDBtS DB DBDB DBBS চলো সব- A বৃষ্টির বিরাম নাই! একটু থামে, আবার অমনি জোরে আসে, বৃষ্টির ছাটে fff quf Qef ቅጝ©