পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল না, ও যেন স্বপ্ন দেখিচি, আবার ভাবতাম-না, সেই চোখ, টুকটুকে ঠোঁট, মুখের তিল-স্বপ্ন নয়, সত্যিই তো-রাখতে বসেও মনে হয় মা, অপুর আসা স্বপ্ন হয় তো, সব মিথ্যে-তাই কেবল ওর মুখেই চেয়ে ঠাউরে দেখি অপু চলিয়া যাইবার কয়েকদিন পরে সর্বজয়া তেলিগিরির কাছে গল্প করিয়াছিল। পরদিনটাও অপু বাডি রহিল। যাইবার সময় মাকে বলিল-মা, আমাকে একটা টাকা দাও না ? কতক গুলো ধারা আছে। এ মাসে, শোধ করব, দেবে ? সর্বজয়ার কাছে টাকা ছিল না, বিশেষ কখনও থাকে না । তেলিরা ও কুণ্ডুরা জিনিসপত্রটা, কাপড়খানা, সিধাটা —এই রকমই দিয়া সাহায্য করে। নগদ টাকাকডি কেহ দেয় না ! তবু ছেলের পাছে কষ্ট হয়। এজন্য সে তেলিগিল্পির নিকট হইতে একটা টাকা ধার করিয়া আনিয়া ছেলের হাতে দিল । সন্ধ্যাব আগে অপু চলিয়া গেল, ক্রোশ দুই দূরে স্টেশন, সন্ধ্যার পরেই ট্রেন । অপরাজিত চতুর্থ পরিচ্ছেদ বৎসর দুই কোথা দিয়া কাটিয়া গেল। অপু ক্রমেট বড় জড়াইয়া পডিয়াছে, খরচে আয়ে কিছুতেই আর কুলাইতে পারে না। নানাদিকে দেনা-কতভাবে হুশিয়ার হইয়াও কিছু হয় না। এক পয়সার মুডি কিনিয়া দুই বেলা খাইল, নিজে সাবান দিয়া কাপড় কাচিল, লজেজুল ভুলিয়া গেল। পরদিনই আবার বোডিং-এর ছেলেদের দল চান্দা করিয়া হালুয়া খাইবে। অপু হাসিমুখে সমীরকে বলিল-জু আন ধার দিবি সমীর, হালুয়া খাবো ? -দু’। আন ক’রে চান্দা-ওই ওরা ওখানে করছে।-কিসমিস দিয়ে বেশ ভাল ऋ'व्र कब्रष्टृ সমীরের কাছে অপুর দেন। অনেক । সমীর পয়সা দিল না। t