পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাড়বার জন্য মুখুয্যেদের বাগানে পাচিল ডিঙাইয়া ঢুকিতেছিল। আম খাইতে কাজলের আপত্তি নাই, কিন্তু মধ্যে প্রাচীর রূপী বড় একটা বাধা রহিয়াছে। অত উচু পাচিল তাহার পার হইবার সাধ্য নাই। বেণু আর শ্রীশ অদ্ভুত কৌশলে তর তাঁর করিয়া পাচিলের মাথায় উঠিয়া গেল। শ্রীশ মিটমিটি হাসিয়া বলিল --কি পাের, পারবি নে ? তাতাদেব উঠিবার কায়দা দেখিয়া কাজলের মনে হইতেছিল, ভূমিষ্ট হঈয়া অবধি তাহারা এই কার্যোব অনুশীলন কবিয়াছে । মনে মনে নিজের অক্ষমতা বুঝিয়া কাজল ম্রিয়মান হইয়া বালিল-না ভাই আমাব ডান পাযে ব্যথা। একটা ফেলে দে না ভাই, খাই । শ্রীশ এবং বেণুবা দয়া কবিয একটা দুইটা আমি তাহাকে খাইতে দেয়। উপায় কি ! নিজে উঠিয়া পাড়িবার সাধ্য তাহার নাই । বাহিরের দুনিয়ায় লাফালাফি করিয়া বেডাইবার সামর্থ নাই বলিয়া সে ঘবের বাইবে অধিকাংশ সময় কাটায়। মাঝে মাঝে কাজল বাবার ওয়াইডওয়ার্লড ম্যাগাজিনগুলি নাডিয়া চাডিয। দেখে। গল্পগুলির আকর্ষণ তীব্র । ছবি দেখিয়া তাহার গায়ের লোম কঁাটা দিয উঠে।--যে ছবিটায় খুব রহস্যজনক ঘটনার আভাস পাওয়া যায়, বাবাকে বলিয়া গল্পটা কাজল শুনিয়া লয়। অপু বুঝিতে পারে, কাজলেব মানসিক বৃদ্ধি শুরু হইয়াছে। ঠিক এই একই জিনিস সেও করিত দেওয়ানপুরের স্কুলে। কঠিন ইংরেজী বুঝিতে না পারিলে ছবি দেখিয়া কিছুটা আভাস পাইবার চেষ্টা করিত, অনেক সময় রমাপতিদাকে ধরিয়া গল্পটা বুঝিয়া লইত। সেই একই জিনিস আবার ঘটতেছে। রক্তের ভিতব অদৃশ্য বীজ রহিয়াছে—তাহাই এ সব সম্ভব করিতেছে । ধারাবাহিক উপন্যাস দুইখানি শুরু করিবার কিছুদিন পরে অপু বিকালে বসিয়া ছেলের সঙ্গে জলখাবার খাইতেছিল। গোপালের মা পরোটা ভাজিয়া দিয়া রাস্তার ওপারের দোকানে দোক্তা আনিন্ডে গিয়াছে। এমন সময় বসিবার ঘরের দরজাব মুখে আসিয়া দাডাইল একটি মেয়ে। কিশোরী বলাই অধিক সঙ্গত, মেয়েটির বয়স কোন মতেই পনেরো-ষোেলর বেশী নহে। অঞ্চ অবশিষ্ট পরোটাসুদ্ধ থালাখানা তাড়াতাডি খাটের নীচে লুকাইবার চেষ্টা করিল।* আশ্চর্যের উপর আশ্চর্য ! মেয়েটি এক আসে নাই, তাহার পিছনে আরও একটি মেয়ে আসিয়াছে। এ মেয়েট হয়ত প্রথমটির চেয়ে বৎসর দুই-তিনের दएछ श्शेहद । অপু উঠিয়া কোচা দিয়া খাটটা পরিষ্কার করিয়া মেয়ে দুটিকে বসিতে দিল। Woy