উচ্চন ধবাইয়া তালের বড়া ভাজিবার আয়োজন করিতেছে, দুর্গ নিকটে বসিয়া তাল চাচিয়া রস বাহির করিতেছে। ছেলেকে দেখিয়া বলিল কোথায় ছিলি বল দিকি ? সেই বেরিয়েচো বিকেলবেলা, কিছুই তো আজ খাবার খেলেনিখিদোতেষ্টা পাষ না ? মাযের নিকটে বলিবাব জিনিস অপুব মনে তৃপাকার হইয়া সকলেই একসঙ্গে বাহিবে আসিবাব জন্য এরূপভাবে চেষ্টা পাইতেছিল যে, পরস্পরেব ঠেলা ঠেলিতে পবাস্পবেব নিৰ্গমনপথ এককালীন রুদ্ধ হইয়া গিয অপুকে একেবারে নির্বাক কবিয দিল। সে শুধু বলিল-আমি কি কাপড ছাডবো মা ? আমার এখানা ওবেলাব কাপড পবে সে বিস্মযোেব সহিত দেখিল যে, মা তাহাকে চালভাজা দেওয়াব কোন আগ্রহাট না দেখাইযা তালেব বসটা ঘন পাতলা হইয়াছে, তাহাই অত্যন্ত মনোযোগেব সহিত পৰীক্ষা কবিতেছে। পৰীক্ষা শেষ হইয়া গেলে দুৰ্গাকে বলিল-দু-চাব খান ভেজে দেখি, না হয, বড় তক্তপোষেব নীচেটায় চালোব ওঁডে আছে, আব্ব দুটো নিযে আসিস এখন-পবে ছেলেব দিকে চাহিয়া বলিল, দাড়া অপু, তোকে গৰম গবম ভেজে দিচ্ছি। অপু বলিল-কেন মা, চাল-ছোলা ভাজা কৈ ? --ত চাল ভাজা তুষ্ট খেলি কৈ ? এতবাব ডাকলাম, তুই বেরিয়ে চলে গেলি, ঠাণ্ডা হযে গেল, দুৰ্গা খেযে ফেলে, তা এই বড় তা হযে গেল বলে। লাজবো অ্যাব দেবো । অপু সেই বৈকাল বেলা ঠাইতে মনেব মধ্যে যে তাসেব ঘব নির্মাণ কবিতেছিল, এক ফুযে কে তাহ। একেবাবে ভূমিসাৎ কবিয দিল। এই তাহার মা তাতাকে ভালবাসে । সে বৈকালবেলা বাড়ীর বাহিবে যাওযাব পর হইতে অনবৰত ভাবিতেছে-মা না জানি কত দুঃখই কবিতেছে তাহাৰ জন্য । অপু আমাৰ এখনও কেন যে এলে না, তাব জন্যে এত ক’বে ঘাট থেকে এসে ভাজা ভাজিলাম, আহা সে দুটো খেলে না -হঁ, দাম পডিয়াছে, তাহাৰ জন্য ভাবিয়া তো মায়ের ঘুম নাই-মা দিব্যি সেগুলি দিদিকে খাওয়াইযা দিয নিশ্চিন্ত হইয়া বসিয়া আছে-সে-ই শুধু এতক্ষণ মিছামিছি ভাবিয়া মন্বিতেছিল। দুৰ্গা বলিল-মা শীগগির শীগগিব ভেজে নাও। বড় মেঘ করে আসচে, বিষ্টি এলে আর ভাজা হবে না,-ঘরে যে জল পড়ে।-সেদিনকার মত হবে কিন্তু দেখিতে দেখিতে চারিধার ঘিরিয়া ঘনাইয়া-আসা মেঘের ছায়ায় বঁাশবনের মাথা কালো হইয়া উঠিল। খুব মেঘ জমিয়া আকাশ অন্ধকার হইয়াছে, অথচ
