পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেঁধে দিলে। এ দেখে বোহিম মনে-মনে বেড়ালের উপর চটে রইল, তাকে আড়ালে পেলেই খ্যাক করে মুখ ভেঙ্চাতে ছাড়ত না। সোনা দুই সতিনের ঝগড়া দেখে হেসেই অস্থির। কিন্তু সোনাতোন বললে, ‘দিদিমণি, বেড়ালবে। আর কুকুরবেীয়ে যেদিন সত্যি কোদল বাধবে সেদিন বাড়িতে কারু টেকা ভার হবে, খাতাঞ্চিমশায় ভারি রাগবেন। আমি বলি এই বেলা বাড়াবাড়ি ইবার আগেই হতভাগি মুড়োখাগি ও বেড়াল-চোখি নরুণ-দাতি আমার ছোটো বোঁটাকে ওর ৰাপেরবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া যাক।’ কিন্তু সোনার মা সোনাকে ঘুম পাড়াবার সময় প্রায়ই বলতেন : ‘সোনা যাবে শ্বশুরবাড়ি সঙ্গে যাবে কে বাড়িতে আছে পুসি বেড়াল কোমর বেঁধেছে।' পাছে একলা শ্বশুরবাড়ি যেতে হয় সোনার সেই ভয়টা খুব ছিল - কাজেই সোনাতোনের বেড়ালবেীকে বাপের বাড়ি পাঠাতে সোনা একেবারেই রাজি হল না। নিজের বাপেরবাড়ি যেতে হল না, তাই না হয় থাক ভালো-মানুষটি হয়ে শ্বশুরবাড়ি, তা নয় যাবি তো যা, বেড়ালবোঁ একদিন সোনার বাপের ঘরে গিয়ে ঘন দুধের বাটিতে চুমুক দিয়েছে। সন্ধেবেলায় খাতাঞ্চিমশায় হাত মুখ ধুয়ে আফিমের ডেলাটি গালে ফেলে ঘরে ঢুকে দেখেন, দুধের বাটি খালি কয়ে হিসেবের খাতায় মাথা রেখে দির্যি ঘুম দিচ্ছে বেড়াল ! রায়মশায় আস্তে-আস্তে বোহিমকে সেই ঘরের মধ্যে পুরে দিয়ে বাইরে থেকে দরজার শিকল টেনে দিলেন। তারপর দশমিনিট ধরে যে ঝগড়া চেচামেচি চুলোচুলি মারামারি চলল তা আর বলবার নয়। সোনার মা সেলাই ফেলে ছুটে এলেন, সোনা তার মোমের পুতুল-ছেলের পা ধরে সেটাকে মাটিতে হেঁচড়াতে-হেঁচড়াতে নিয়ে উপস্থিত, আঙুটি পাণ্ডটি তো ভয়ে কেঁদেই ফেললে। কেবল সোনাতোন তখনো দিব্যি নাক ডাকিয়ে ঘুমোচ্ছে ইটের বালিসে মাধ। রেঞ্জে । - খাতাঞ্চি ডাকলেন, ‘সোনাতোন। অমনি সে ধড়মড়িয়ে উঠে \