পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবুই-বাসা আগেই বলেছি জোড়ার্সাকোর মাঝে পারবাগান, তার যে ‘র’য়ের শূন্তটি, তার মাঝে যেমন কোঁটার ভিতর কোটা থাকে তেমনি, একটি এতটুকু গোলবাগান, তাব মাঝখানে তার চেয়েও ছোটো একটি গোল ফোয়ারা তার দুটি তেতলা বাড়ি, ঝিনুকের মধ্যে মুক্তোর মতো বসানো রয়েছে। এইটে হল নন্দনবাগান ইন্দ্রপুরী। এখানে ছেলে বুড়ো সবাই একসঙ্গে গান গেয়ে, ছবি একে, বই লিখে, স্বচ্ছন্দে আনন্দে থাকে বলে এই বাগানের নাম নন্দনকানন। এখানে এক বিঘত গাছে সব ফল ধরেছে ; আম, জাম, ডালিম, তেতুল। রায়বাবুদের ছেলেরা কাগজ পেলে ঘুড়ি বানায়, নয়তো কোম্পানির কাছে স্ট্যাম্প দিয়ে সেগুলো জমা করে বস্তা-বস্তা। কিন্তু এখানকার ছেলেরা ঠিক তার উল্টো করে, কাগজ হাতে পেলে তারা তাতে, ছবি লেখে, নয়তো বই লেখে। নোটের কাগজে ছবি লেখা যায় না বইও লেখা চলে না, তাই কেবল সেই কাগজগুলোই নৌকো করে তারা ফোয়ারায় ভাসায়, সুবিধা পেলেই কখনে। কখনো । এই ফোয়ারার সঙ্গে গোলদিঘির মাঝে জম্বুদ্বীপের যোগ ছিল, সেখানে নৌকো ছাড়লে ঠিক এখানে এসে পৌছত। একদিন একটা কাগজের নেীকে ভাসতে-ভাসতে রাতের বেলায় জম্বুদ্বীপে এসে ঠেকল, ঠিক সেইখানটিতে যেখানে জলের মধ্যে একটা ডুবো বন উলটো দিকে মাথা করে রয়েছে দেখা যায় । ওপার থেকে ছেলে-মেয়ে পাঠাবার জন্যে বেীর প্রায়ই কাক মশায়কে চিঠি পাঠায় । সেই জন্যে সব কাক-বক ডাকপেয়াদা দিনরাত জলের ধারে-ধারে পোস্ট-আফিস ঘরে বসে আছে ৷ ‘পোঃ গোল-দিঘি, জম্বুদ্বীপ, এই ঠিকানায় দরখাস্ত ছাড়লেই পেয়াদার >8○