হুম্বার তখন ভয়ে মাথা ঘুলিয়ে গেছে সে কাপতে-কাপতে বললে —‘সর্বনাশ হল, হায়-হায় কী উপায়, কী উপায়।’ রিদয় আরো চটে বললে –‘আরে মশাই হয়েছে কী তাই বলুন না ? চুম্বা তখন একটু স্থির হয়ে বললে –‘ওই খেকি-খেকি-খেকি খেকশেয়ালী ওই তিন ফেরুপাল ওঁর। যদি আমাদের দেওয়া মুড়ে কিংবা ভেড়ার মাংস না খেতে চান তো কী হবে এখন ’ রিদয় হেসে বললে –এই জন্তে এতে ভয়, তা ওঁরা যদি আপনাদের মুড়ো মাংস না খান তে আপনাদেরই তো লাভ, এতে আপনার তুংখুই বা কী, ভয়ই বা কী ? হুম্বা শিং নেড়ে বললে –‘আহ। আপনি বুঝেন না, ওঁদের মুড়ে মাংস খাওয়ানো যে ভেড়াবংশের সনাতন প্রথা, সেটা বন্ধ হলে যে আমাদের জাত যাবে, আমরা একঘরে হয়ে যাব, তার করলেন कौ ? রিদয় গম্ভীর হয়ে বললে –‘আগে আপনি কী করতে চান শুনি ? চুম্বা কেঁদে বললে –‘আমি এ প্রাণ আর রাখব না –আমি সমাজদ্রোহী, আমি নরকে যাব স্থির করেছি, আমি অতি হতভাগ্য ।" রিদয় চুম্বার শিং এ হাত বুলিয়ে বললে –‘ওদের ঠাস করবার কি আর কোনো উপায় নেই!’ হুম্বা ঘাড় নেড়ে বললে –‘আর এক উপায় –তুষানলে জ্বলে পুড়ে মরা, কিন্তু তার চেয়ে নরককুণ্ডে ঝাপিয়ে পড়াই সহজ ? রিদয় বলে উঠল –‘কাজ আরো সহজ হয় ওই তিনটে কুকুরকে নরকে পাঠিয়ে দেওয়া ! তুম্বা দুই চোখ পাকল করে অবাক হয়ে বললে –‘একি সম্ভব ? রিদয় বললে –‘দেখি তোমার শি খুব সম্ভব এক চুয়ে তিনটেকে একেবারে নরকে চালান করে দেওয়া যায় যদি তুমি তাল ঠুকে লাগ । ఫిఫిలి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০৫
অবয়ব