বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—“বারে আমি দুবার করে খাতা লিখব নাকি ? —“চল খাতাঞ্চিখানায়, যোগেশ দাদা এর বিচার করবেন।’ —‘চল, চলনা তুমি আগে চল, আমি যাচ্ছি সঙ্গে । —‘গেলে না সরলে মাঝপথ থেকে দাদামশায় ? —‘আরে ভাই সে রামলাল তাতে কদিন দুধ না পেয়ে চটেছে— গ্রেপ্তার করে হাজির করলে খাতাঞ্চিখানায় বিচারকের সামনে। কদম ছাট পাকা চুল বুড়ে বাঘের মত পাকা গোফ গলায় শাদ। শাপের মত পৈতে, বড়ে বড়ো চোখ, সামনে খাতা বাক্স পাশে রূপে বাধা হুকো —ফরাসে বসে উচু বৈঠকের পরে। —“কি রামলাল, ছোটো বাবাকে ধরেছ কোন অপরাধে ? —‘আজ্ঞে খাতা লেখায় ফাকি দিচ্ছেন।” —খাত দাও, এক কলকি তামাক সাজো দেখি । বস ছোটোবাবা তক্তায় উঠে বস । আমি উঠে বসতে বললেন—‘গোবৰ্দ্ধন দাওতো তোমার চশমাটা, ভালো করে বিচার করে দেখি খাত।” আমি বললেম—‘চশমা যে তোমাব নাকেই রয়েছে যোগেশ দা'৷' —‘ছোটো বাবা হাসালে। সূক্ষ্ম বিচার করতে হলে ডবল চশমার দরকার।’ —আমি বললেম—“আমার দোষ নেই, দুধের বার্ট দিইনি বলে রামলাল রেগেছে ? —“আচ্ছা সে বিচার পরে, দেখি খাতা, কী লিখতে দিয়েছিল মাষ্টার ? —‘দী র্যাম আর তার বাংলা মানে ৷” —‘বেশ, দী র্যাম—এতো দিবিব হয়েছে, পাতা জোড়া খাতা, দেখিতো মানেটা—“ছাগলীর মায়ের ভর্তা’ বলেই বাকসতে এক চাপড়। রামলাল হকে হাতে হাজিল ঠিক সময়ে। যোগেশদ। তেড়ে উঠতে যাচ্ছিলেন-হুকো হাতে পেয়ে ঠাণ্ডা। —‘রামলাল ছোটো বাবার জুধ কতটা বরাদ্দ ? 8 a S