একটি রাজপুত্র হল না। বৃদ্ধ বয়সে রাজপুত্রের আশায় নিরাশ হয়ে রাজা-রানীর চক্ষের জলে বুক ভেসে যেতে লাগল। এমন সময় একদিন মহর্ষি দমনক রাজ-সভায় দর্শন দিলেন । ঋষির মাথায় জটাভার, পরণে বাকল, গৌর বরণ, হাসি হাসি মুখ। দেখলে চক্ষু জুড়িয়ে যায়। মহা ভক্তি হয়। মহারাজ ভীমসেন ঋষিকে প্রণাম করে পায়ের ধুলো নিয়ে, অন্তঃপুরে সোনার পালঙ্কে বসালেন। মহারানী সোনার কলসে নির্মল জলে ঋষির পা ধুইয়ে, সোনার থালায় সোনার বাটিতে পঞ্চাশ ব্যঞ্জন খেতে দিলেন । তারপর রাজা-রানীতে জোড় হাতে ঋষিকে কত স্তবস্তুতি করলেন। বর চাইলেন –হে ঠাকুর, একটি রাজপুত্র দাও। ঋষি প্রসন্ন হয়ে “তথাস্তু’ বলে রাজ-রানীকে আশীৰ্বাদ করে চলে গেলেন। আঁধারপুরে রাজা রানীর মুখে এতদিনে হাৰি ফুটল। মুনির বরে সেই বৃদ্ধ রাজা-রানীর পর-পর তিনটি রাজপুত্র হল। বড়োটির নাম হল দম, মেজটির নাম দাস্ত, ছোটোটির নাম দমন। তারপর বর্ষশেষে সেই আঁধার পুরী আলো করে রাজরানীর শূন্ত কোল পূর্ণ করে জগৎমোহিনী এক রাজকম্ভে হল, তার নাম হল দময়ন্তী । 8心事
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৭২
অবয়ব