এই সময় হেভি হোতির খোড়া গরু কাছারির হাতার মধ্যে ঢুকে কচুপাতা চিবুতে থাকল। জগমুনশি হঁকলেন –ও পানি-পাড়ে, কাছারির কচুগাছ খায়, গরটাকে বঁধে।’ হেভি হোতি বুঝলে জগমুনশির কাছারিতে এসেছি। হেতি হোতিকে দেখে জগমুনশি কানে কলমটা গুজে চাকুখানা বাগিয়ে বললেন –‘ক্যে ? —‘আজ্ঞে আমরা হুেতি হোতি।’ মুনশি বললেন – হেতি হোতি বলে কাউকে তো চিনি ন৷ বাপু ! চিঠি এনেছ কী কারুর ? হুেতি হোতি জীবন গোসাই-এর দেওয়া মাছের আঁশখানি জগ— মুনশির হাতে দিতেই মুনশি সেটার পরে একবার চোখ বুলিয়েই বললেন –‘ভবের হাটে ঘোল খেতে যাবা ? ও পানি-পাড়ে, একখানা ছাড়পত্র লিখে ফ্যালাও তো । বস বাবাছটি, একটু দেরি হবে। গরুট বেঁধে আসুক জলধর পাড়ে। ছাড়পত্র দিলেই তো হল না । আগে বয়নামা, তারপর ছোলেনামা, বকলম দস্তখৎ, পাঞ্জ। মোহর পড়ল, তবে হল পাকা আঁচড়-দোরস্ত ছাড়পত্র । তোমরা তো রাখাল, যাও দেখি গাইটা হয়ে একটু দুগ্ধ আন তো ? দেখি কেমন চতুর দুই ভাই! সকালে দ্বন্ধ না হলে চলে না। হাতের লেখা বিগড়ে যায়।’ হেতি হোতির দিকে চায়। হোতি হেতির দিকে চায় । আর দুজনকে দুজনেই বলে –‘ছন্ধ ? জগমুনশি ওদের ভাবগতিকে বুঝলেন, ছন্ধ কারে বলে ওরা জানে না। ধমকে বললেন –‘ছন্ধ চেন না, কেমন রাখাল তোমরা ? গাভী দোহন করলেই দুগ্ধ পাওয়া যায় তা তো জান, না তা-ও জান না ? গাভী দোহন কেমন করে করতে হয় তা—’ এমন সুময় পানি-পাড়ে এসে হাজির হতেই জগমুনশি বলেন —‘ও জলধর । এরা যে গো-দোহন কারে বলে জানে না, দুগ্ধ চেনে না, কত দুধে কত জল তার জ্ঞান নেই, অথচ ভবের হাটে ঘোল
- Հեր