বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিয়ের সমস্ত ঠিকঠাক করে মালদেবের দূত চিতোরে ফিরে গেল । এদিকে কৈলোরে বরযাত্রার উদযোগ চলতে লাগল। যত বুড়োবুড়ে রাজপুত সর্দার লছমীরানীকে ধরে বসলেন– মালদেব হাজার হোক শত্রুপক্ষ তো বটে। মহারানাকে সেখানে বিনা পাহারায় পাঠানো কোনো মতেই উচিত নয়। রানীর হুকুমে পাঁচশো রাজপুত সেপাই বরযাত্রীর সঙ্গে যাবার জন্যে প্রস্তুত হল। হাম্বির মাকে প্রণাম করে বিদায় হলেন । লছমীরানী আশীৰ্বাদ করলেন, ‘বৎস, মালদেবের কন্যার সঙ্গে মেবারের রাজলক্ষ্মীও তোমায় বরণ করুন ? কৈলোর থেকে চিতোর অনেক দূর, কিন্তু হাম্বিরের ঘোড়া যেন উড়ে फ़लब्न ! বরযাত্রীরা যখন চিতোরের সম্মুখে উপস্থিত হলেন তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়েছে। পশ্চিমের আলোয় আকাশ ছেয়ে গেছে। ঠিক যেন দেবদূতেরা মহারানার মাথায় ছাত ধরেছেন। . কিন্তু মালদেব— র্যার কন্যা আজ মেবারের অধীশ্বরী রাজরাজেশ্বরী হতে চলেছেন, তিনি কোথায় ? কেল্লার দরজায় একটিমাত্র প্রহরী মহারানাকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করে দুয়ার ছেড়ে পাশে দাড়াল ! মঙ্গল-শাখ নেই, কন্যাযাত্রীর আনন্দ নেই, যেন কোনো নির্জন পুরীতে হাম্বির প্রবেশ করলেন। বুড়ো মন্ত্রী এসে হাম্বিরের কানের কাছে বললেন, মহারান, যেন কেমন কেমন ঠেকছে! মালদেবের লক্ষণ ভালো নয়। আমার মতে কেল্লার মধ্যে প্রবেশ করা উচিত হয় না।’ হাম্বির বললেন, ‘নিজের কেল্লায় নিজে প্রবেশ করব, তার আবার ভয়টা কী ? চলে এসো—’ সেই সময় ফটকের এক কোণ থেকে মালদেব এসে বললেন, ‘মহারানা, আমারও সেই আশা ছিল, আপনি নিজের ঘরে আসছেন তার জন্তে আবার অভ্যর্থনাই বা কী, বাজনা-বাছিাই বা কেন ? মন্ত্রী বললেন, ‘মালদেব, তুমি কি জানো না রাজপুতদের নিয়ম 38b