হাম্বির বললেন, তা যাই হোক মা, এখন আমার এই নগরের একটি ভালো নাম তোমায় বেছে দিতে হবে। লক্ষ্মীপুর কেমন নাম ? রানীমা বললেন, ‘আরে না না, ও যে বাঙালী রকম শোনাচ্ছে । আমি একটা ভালো নাম সন্ধান করছি। শুধু নাম নয়, তার সঙ্গে একটি লক্ষ্মী বউ । তুই আর দিন কতক সবুর কর।’ দুজনে যখন এই কথা হচ্ছে, সেই সময় চিতোর থেকে মালদেবের দূত আর একজন ব্রাহ্মণ হাম্বিরের বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে কৈলোরে উপস্থিত হল। ব্রাহ্মণ এসে মালদেবের চিঠি আর একটি রুপোর পাতে মোড়া নারকেল এনে লছমীরানীর সম্মুখে ধরে দিলেন। রানী চিঠিখানি খুলে পড়তে লাগলেন, লেখা বয়েছে— ‘আমার কন্যা রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী । তাকে আপনার চরণে দাসী করে আমার কুলকে পবিত্র করুন। আমি পাঠানের আশ্রয়ে আছি বটে, কিন্তু ধর্ম ছাড়িনি! রানী হাম্বিরের দিকে চেয়ে বললেন, “দেখ দেখি, মালদেব চিতোর থেকে কেমন সুন্দর নারকেলটি পাঠিয়েছেন। এটা আজ দেওয়ালির পুজোর কাজে লাগবে ? হাম্বির বললেন, ‘বেশ ফলটি, কিন্তু মা, এটার উপর প্রথম থেকেই আমার লোভ পড়েছে। এট আর দেবতাদের দিয়ে কাজ নেই, এটা আমাকেই দাও।” রানী হেসে বললেন, তা বেশ তোমাকেই দেওয়া গেল— রাজা ও একরকম দেবতা তো। কিন্তু শুধু ফলটি নিলে তো চলবে না, সঙ্গেসঙ্গে এই চিঠিখনি আর এখানি যে লিখেছে তার মেয়েটিকে ও তোমায় নিতে হচ্ছে । যা ৭, এই ব্রাহ্মণকে নিয়ে এই চিঠির একটা ভালো করে জবাব লিখে নিয়ে এসে ; আমি ততক্ষণ পুজো সেরে আসি। রানী পুজোয় গেলেন। হাম্বির ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ব্যাপারখানা কী বলে দেখি ? ব্রাহ্মণ বললেন, ‘মহারানা, সভায় চলুন, সমস্ত খুলে বলব ? » 8ግ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫৯
অবয়ব