পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলোচনা না হয়— কেননা হুজুরের কানে তাদের এই অসাবধানতার কথা গেলে সভার বার্ষিকী ও চাদ ও অন্যান্ত বাবদে খরচাদি সরকার হইতে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা আছে । কর্মচারী তাগা-তিলকাদি নানা ইষ্টিরিষ্টি দিয়ে আপনাকে বেশ সুরক্ষিত করে নিয়ে তবে পাখির সন্ধানে বাড়ির সদর দরজা পার হলেন, সঙ্গে সেই উকিল এবং হুজুরের সংগীতাচার্য ও বুদ্ধ-বৃহস্পতি সভার জনকয়েক নামজাদা কবি ও লেখকবৃন্দ। মালীকে উকিল জেরা করে জানলেন যে বাগানের আর সমস্ত অংশই সে তন্ন-তন্ন করে দেখেছে— কেবল ওই দিকটা— যেটা পাণ্ডব-বর্জিত দেশের মতো— ওখানটি গিয়ে সন্ধান করতে সে সাহস পায় নি ; কেননা সে জাতিতে উড়ে ; ওদিকের হাওয়া গায়ে লেগেছে শুনলে তার জাত নিয়ে টানাটানি পড়বে । রাজার তাড়ায় কর্মচারীর জাতের কথা ভাববার সময ছিল না, তিনি চুট্ৰ' বলেই সেই নিষিদ্ধ দিকটাতেই অগ্রসর হলেন । সঙ্গে সঙ্গে সকলে চাদরের আড়ালে নাকগুলিকে নিষিদ্ধ দিকের হাওয়া থেকে ঢেকে নিয়ে কোনো রকমে জাতি রক্ষা করে কর্মচারীর অনুসরণ করলেন। কর্মচারীর জাতি লোহার সিন্দুকে চব সের ডবল তালার মধ্যে সুরক্ষিত ছিল, তার উপরে রাজ-আজ্ঞ, সুতরাং তিনি অনেকটা নির্ভয় ছিলেন। এই পাণ্ডব-বজিত দিকে তখন বসন্তের ফুল ফুটেছিল, এত ফুল যে, তার সৌরভ চাদরের শত ভাজ দিয়েও ঠেকানো যায় ন - কাজেই জাতি জাতীফুলের জাতি-কলে বলির পাঠার মতো আর্তনাদ শুরু করেছে। কর্মচারী ধমক দিয়ে উঠলেন– চুট্ ! তার সেই জলদগম্ভীর স্বমে একটা শুকনে কুয়োর ঘুমন্ত ব্যাং হঠাৎ বর্ষার স্বপ্নে মক্‌মক করে খানিকটা বকে উঠল, এবং দূর বনে একটা বাছুর কোনো আকস্মিক উৎপাতের আশঙ্কায় হাস্বা-রবে হরি-স্মরণ করতে থাকল। কর্মচারী ও র্তার দলবল— এদের কারুর পাখির সঙ্গে সাক্ষাৎ পরিচয় মোটেই ছিল না। কিন্তু প।খ সব করে রব রাতি পোহাইল, কাননে কুমুম-কলি সকলি ফুটিল – এর মধ্যে থেকে যে \ల\(t