পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামে তোমরা যে-সব নালিশ রুজু করতে চলেছ, এ খবর র্তার কাছে পোঁছবে। অতএব তোমাদের উচিত আজই আমাকে মামার রাজ্যে অভিষেক করা। আমার রাজ্য হলে আমি যা বিচার করব, তার উপর আর মামা এলেও কথা চলবে না— মামার বাবা এলেও নয় ।” এই বলে সিংহ হুংকার ছেড়ে চারি দিক চাইলেন ; সব জানোয়ার ভয়ে কাচুমাচু হয়ে একসঙ্গে ল্যাজ তুলে জানালে— “তাই হোক! এখনি আপনাকে অভিষেক করা হোক! বুড়ে। ভোম্বলদাসকে চাইনে আমরা— সে তার পণ্ডিতের বুদ্ধিতে চলতে চায় চলুক ; আমরা গায়ের জোরে সিংহকে রাজা করব— জোর যার মুলুক তার ” সিংহরাজ মামার মালখানা খুলে রাজমুকুট, রাজদণ্ড, শ্বেতছত্র, শ্বেতচামব শানতে মন্ত্রীকে হুকুম করলেন। ছুচোর কাছে মালখানার চাবি থাকত, সে এসে নিবেদন করলে, পণ্ডিতমশাই যাবার একহপ্তা আগে বুড়ে রাজার হুকুম-নাম দেখিয়ে মালখানার চাবি তার হাত থেকে নিয়েছেন ; সে চাবি তার কাছে এ পর্যন্ত ফিরে আসে নি । সিংহ এক থাপ্পড়ে ছুচোকে যমালয় পাঠান আর কি, এমন সময় ভালুক-মন্ত্রী সিংহকে রাজা না হতেই অবিচার করে ছু চো-মেরে হাতে-গন্ধ করে বসতে নিষেধ করলেন । কিন্তু মালখানার দরজা না খুললে তো কাজ-কর্ম চলে না। সিংহ হুকুম দিলেন—“ভাঙো দরজা ।” দরজা গেঁথেছিল রত-শেয়াল : হাতি হয়েছিল ফোগ লা— তিনি সে কাজে আর এগুলেন না। মোষ গেল, ষাড় গেল– সবাই শিং বেঁকিয়ে ফিরে এল। বুনো শুয়োর তার ছিল সোজ, ছুচোলো দাত, দরজায় ধাক্কা খেয়ে অর্ধচন্দ্রের মতো বেঁকে গেল ! গণ্ডারেরও ওই দশা! এদের মধ্যে কেউ দাতে-করে কেউ শিঙে-করে কেউ শুড়ে-করে না তুলেছেন, না ভেঙেছেন এমন জিনিস নেই, কিন্তু কী গাথুনিই গেঁথেছিল রতা— দরজা খুলল না। 8මීA