পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙালী সািভয়ে প্রাঙ্গণে নামিয়া দাড়াইয়া কহিল, আমরা দুলে। অধর কহিলেন, দুলে ! দুলের মড়ায় কাঠ কি হবে শুনি ? কাঙালী বলিল, মা যে আমাকে আগুন দিতে বলে গেছে। তুমি জিজ্ঞেস কর না বাবুমশায়, মা যে সবাইকে বলে গেছে সকলে শুনেছে যে ! মায়ের কথা বলিতে গিয়া তাহার অনুক্ষণের সমস্ত অনুরোধ উপরোধ মুহুর্তে স্মরণ হইয়া কণ্ঠ যেন তাহার কান্নায় ফাটিয়া পড়িতে Şाझिब्न् । আধর কহিলেন, মাকে পোড়াবি ত গাছের দাম পাঁচটা টাকা আন গে | পারবি ! কাঙালী জানিত তাহ অসম্ভব । তাহার উত্তরীয় কিনিবার মূল্যস্বরূপ তাহার। ভাত খাইবার পিতলের কঁাসিটি বিন্দির পিসী একটি টাকায় বঁধা দিতে গিয়াছে । সে চোখে দেখিয়া আসিয়াছে সে ঘাড় নাড়িল, द िव्लव्न भ! ! "অধর মুখখানা অত্যন্ত বিকৃত করিয়া কহিলেন না ত, মাকে নিয়ে নদীর চড়ায় পুতে ফেলে গেলে যা । কার বাবার গাছে তোর বাপ কুন্ডুল ঠেকাতে যায় পাজী হতভাগা নচ্ছার । কাঙালী বলিল, সে যে আমাদের উঠানের গাছ বাবামশায় । সে যে আমার মায়ের হাতে পোতা গাছ । হাতে পোতা গাছ ! পাড়ে, বাটাকে গলাধাক্কা দিয়ে বাব করে পাড়ে আসিয়া গলাধাক্কা দিল এবং এমন কথা উচ্চারণ করিল। যাহা কেবল জমিদারের কর্মচারীরাই পারে । কাঙালী ধূলা ঝাড়িয়া উঠিয়া দাড়াইল, তার পরে ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল। } কেন সে যে মারা খাইল, কি তার অপরাধ ছেলেটা ভাবিয়াই পাইল না । গোমস্তার নিবিকার চিত্তে দাগ পর্যন্ত পড়িল না । পড়িলে এ চাকরি, তাহার জুটিত না । কহিলেন, পরেশ দেখা ত হে এ ব্যাটার খাজনা বাকী পড়েছে কি না । থাকে তা জাল-টাল কিছু একটা s