পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী বামুনঠাকুরাণী বলিল, “ও তা ত বটেই! তোমার এখানে যে কিছুই দেখছিনে। তোমার সব-উপরে বুঝি তোমার বাবুর কাছে রয়েছে ?” সুশীলা বলিল, “বাৰু! বাৰু কে ? আমার সঙ্গে ত কেউ নেই।” বামুনঠাকুরাণী বলিল-“ও-আমি মনে করেছিলুম, তেতিলায় যে বাবুট এসেছেন, তুমি বুঝি তঁরই সঙ্গে এসেছ!” সুশীলা কাতরভাবে বলিল, “না। বাছা, আমি কারও সঙ্গে আসিনি-আমি একলাই এসেছি। আমার সঙ্গে কিছু নেই দেখে, ঠাকুর-মহাশয় দয়া ক’রে আমাকে পথথেকে কুড়িয়ে এনেছেন। আমি বড় দুঃখিনী-বড় অভাগী!” কথাগুলি বামুনঠাকুরাণীর ভাল লাগিল না। সে মুখখানি একটু বিকৃত করিয়া, একটু সুর টানিয়া বলিল, “কি জানি বাবু, তুমি কে ! তা যাই ঠাকুরের কাছে। তিনি তোমার কাপড়, গামোছার কি করবেন, তাই শুনিগে । যত সব গেয়ো!” বলা বাহুল্য, সুন্দরী, যুবতী, বিধবা সুশীলাকে দেখিয়া ঠাকুরাণীর হৃদয়ে স্বতঃই ঈর্ষ্যার সঞ্চার হইয়াছিল। সে আর কিছুতেই তাহা গোপন করিয়া রাখিতে পারিল না। [ ४३४