পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী বামুনঠাকুরাণী চলিয়া গেলে, সুশীলা আবার সেইখানে বসিয়া পড়িল । তাহার মনে তখন একটা ভয়ানক দুর্ভাবনার উদয় হইল। সে ভাবিতে লাগিল-“একটু আগেই একটি বাৰু এসেছেন-তিনি তেতলায় আছেন। এ বাবু ত যোগেশ নহে ?” কথাটা মনে করিতেই তাহার প্রাণ কঁপিয়া উঠিল । “তবে কি রমানাথ ঠাকুর তাহাকে ফাঁদে ফেলিলেন ?--না-না, তাহা বিশ্বাস হয় না । ঠাকুর এমন খারাপ লোক হইতেই পারেন না । তাহাকে দেখিলে খারাপ লোক র’লে মনেই হয় না। এমন দয়ার শরীর ;-না না, আমি তাকে সন্দেহ করব না। কাশীতে কত লোক আছে ;-আজি আমরা যে গাড়ীতে এলুম, তাতেও কত যাত্রী এল-কত মেয়ে, কত পুরুষ, কত বাৰু এল ; হয় ত তাদের কেউ একজন এসে এই বাড়ীর তেতলায় বাসা मिश्न८छन ।' এই সময়ে বামুন-ঠাকুরাণী একখানি কালপোড়ে ধূতি ও একখানি নূতন গামোছা আনিয়া সুশীলার হাতে দিয়া বলিল, “এই নাও, বাবু-না-না ঠাকুরমশাই, তোমাকে এই কাপড় আর এই গামোছাখানি দিলেন। চল, আর দেরী ক’র না , শীগগির তোমায় নাইয়ে নিয়ে আসি।” S&S