পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te অভিযান্ত্রিক সেখা যায় কি না যায়। যতক্ষণ রইলুম, তিনি আমার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ও কাউনিং সম্বন্ধে আলোচনা করলেন, কিন্তু তা যেন কত সঙ্কোচের সঙ্গে । যেন পাছে আমি একটুও মনে করি যে তিনি আমার সামনে তঁর বিদ্যাবত্তা ও পাণ্ডিত্য প্রদৰ্শন কারচেন । মোহিনী মিল নামক বিখ্যাত কাপড়ের কল এখানেই অবস্থিত, ভেবেছিলুম দেখবো, কিন্তু সময়ের অভাবে হয়ে উঠলো না । পথে পড়ে গেলুম বিপদে, ট্রেনের যে কামরায় উঠেচি সে কামরায় আর দুজন বন্দুকধারী সেপাই টাকার থলে পাহারা দিয়ে কোথায় যেন नेिcध बांह5 । আমাকে ওরা প্রথমে বারণ করেছিল। সে গাড়িতে উঠতে । কিন্তু গাড়িতে বেজায় ভিড় ছিল বলে আমাকে বাধ্য হয়ে ওদের কামরায় উঠতে হ’ল । গাড়ি তো ছাড়লো-মাঝ রাস্তায় তারা কি বলাবলি করলে । একজন চলন্ত গাড়ির ওদিকের দরজা খুললে-আর একজন আমার হাত ‘ধরে টানতে লাগলো-ওরা গাড়ি থেকে আমায় ফেলে দেবে ! আমি প্রথমটা ওদের মতলব কিছু বুঝতে পারিনি। কারণ এ ধরনের ব্যাপার ধারণা করা শক্ত- আমি নিরীহ রেলযাত্রী, আমাকে তারা কেন ফেলে দেবে, এর যুক্তিসঙ্গত কারণও তো একটা খুজে পাইনে । ওদের অভিসন্ধি সম্বন্ধে আমার প্রথম সন্দেহ হ’ল গাডির ওদিকের দরজা খুলতে এবং সঙ্গে সঙ্গে আমাকে হাত ধরে টানতৃে । ওদের সঙ্গে জোরে পারবো না বেশ বুঝলাম--তখন আর একটা স্টেশনে না। আসা পর্যন্ত যে ভাবেই হোক আমায় রেলগাড়ির মধ্যে থাকতে হবে । আমি ওদের বললুম-কেন তোমরা আমাকে এ রকম কারচো ? ওরা সে কথার কোনো জবাব দেয় না, শুধু হাত ধরে টানে। ওরা সে রাত্রে আমায় নিশ্চয়ই ফেলে দিতো-কিন্তু ওদের প্রধান অসুবিধে দাড়ালো -গাড়ির দরজাটা । দরজা যদি বাইরের দিকে খোলা থাকতো তবে দুজনে