পাতা:অভিযোগ - প্রচার পুস্তিকা (১৯৪৭).pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিলেন সর্বেশ্বর মহারাজ : হয়তো দায়িত্বজ্ঞান আছে ব'লেই সে আসতে পারেনি। আমি চললুম। এই চিঠিখানা সুধীরকে দিও। মুক্তিগজ্জ্বের ভার আমি তাকে-ই দিয়ে গেলুম।··-মনে রেখো, সম্মুখে তোমার বিরাট পরীক্ষার দিন রূপাশংকর। যদি জয়ী হ'তে না পারো, তোমাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। গুরুদেব চ'লে গেলেন।.. রূপাশংকর চিঠিখানি টুকরো টুকরো ক'রে ছিঁড়ে ফেললো। এমন সময় সুবীর ঘরে ঢুকলো। কপাশংকরকে গুরুদেবের কথা জিজ্ঞেস ক'ৰ্তে-ই সে ব’ললো । তিনি চ'লে গেছেন। মুক্তি-সঙ্ঘের ভার তিনি আমাকে-ই দিয়ে গেছেন। আর তোমাকে বলেছেন, এ-বিষয়ে আমায় সাহায্য ক’র্তে। অভিমান তবে সুবীর বলে : তাঁর কি এটুকু বিশ্বাসও আমার উপর ছিল না যে তিনি না ব’লে গেলেও তোমায় সাহায্য ক'ৰো ?” রূপাশংকরের চোখে মুখে তখন জয়ের চিহ্ন। --সে আজ মুক্তি-সঙ্ঘের মত জাতীয় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। দেশ নেতার মুখোস পরে অনায়াসে সে পার্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠা ক’র্তে,—পার্বে জন সেবার নাম ক’রে জনগণকে শোষণ ক'ৰ্তে ! এমনি ক'রেই একদিন জনসাধারণের অর্থে দাতব্য হাসপাতালের পরিবর্তে গড়ে উঠলো কৃপাশংকরের নিজের প্রাসাদ। চোরাকারবারের মুনাফায় দিন দিন বাড়তে লাগলো তার অর্থ ও প্রতিপত্তি,—আর সুবীরের বাড়লো ততোধিক বিপদ। এমন কি বাসন্তী ও তাকে ভুল বুঝলো। তার ধারণা, চ্যারিটি খেলায় সুবীরের পরাজয়ের পেছনে রয়েছে বিপক্ষীয়দলের ঘুষ। আর ঘুষ নেওয়ার কারণও হ'লো বাসন্তী নিজে। নিতাইদার ঘাড়ে চেপে না ব’সলেতো, তার সংসার এমন অচল হয়ে পড়তো না। নিতাইদা তার জন্য যথেষ্ট ক'রেছে, সুবীরও অনেক লাঞ্ছনা ভোগ করেছে। না—না—না, আর নয়। সুবীরকে তার জন্য এতোখানি নীচে নেবে যেতে সে দেবে না। নিজের দুঃখের আগুনে অন্যকে আর জালাবে না। আজ-ই সে চ'লে যাবে...