পাতা:অভিযোগ - প্রচার পুস্তিকা (১৯৪৭).pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যিই সে চ'লে গেল অবল|-আশ্রমে। যার কামনার লোলুপ দৃষ্টি ঘুরে মরছিল তাকে ঘিরে, স্বেচ্ছায় এসে ধরা দিল সেই রূপাশংকরের খপ্পরে। কিন্তু যখন সে বুঝতে পালো, এটা অবল| আশ্রম নয়,—জেলখানার-ই নামান্তর; তখন শত চেষ্টা করেও সে বেরুবার পথ খুঁজে পেলো না। ধনীর মেয়ে রত্না পথে কুড়িয়ে-পাওয়া একটি মেয়েকে আশ্রমে রাখতে গিয়ে, দেখতে পেলো বাসন্তীকে। সুধীরের ওপর তার দুর্বলতার কথা অনেকদিন আগে-ই সে জানতো। সমস্ত মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসলেও ছায়ার মত স’রে দাড়ালো সে। সুবীরের কাছে কোনদিনই তার ভালবাসার মর্যাদা সে পায়নি। আজো হয়তো স্বার্থ-ত্যাগের কোন মূল্যও সে পাবে না? তবু সে সুবীরকে জানালো বাসন্তীর বিপদের কথা। বিচলিত সুবীর নিশুতি রাতে তাকে উদ্ধার ক’র্তে গিয়ে নিজেই ধরা পড়ে গেল। কৃপাশংকরও সুযোগ পেয়ে সুবীরকে হাজতে বন্দী ক'রে রাখলো। কিন্তু জব্দ করার আর এক ফন্দী আঁটলো। বাসন্তীর কাকাকে খবর দিয়ে আনিয়ে, এক লম্পটের সঙ্গে ওর বিয়ের ব্যবস্থা কলো। এই ষড়যন্ত্রপূর্ণ জবরদস্তির বিরুদ্ধে দীড়াবার মত শক্তি বাসন্তীর নেই। তাই যন্ত্র-চালিতের মত সে বিয়ের আসরে এসে ব’সলো। কিন্তু কৃপাশংকরের এ্যাডভোকেট এতো বড় অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া সমীচীন মনে ক’লোনা। এই বিয়ে ভেঙে দিতে সুবীরকে-ই তার প্রয়োজন। তাই নিজের দায়িত্বে সুবীরকে সেদিন মুক্তি দিল। বাসন্তীর বিয়ের খবর ও তাকে জানালো। মুহূর্ত বিলম্ব না ক'রে সুবীর সেখানে গেল। কোন বাধা-ই তাকে প্রতিরোধ ক’র্তে পার্লোনা। হীন-কুটষড়যন্ত্রকারী কৃপাশংকরের টুটি চেপে ধ’রলো তার বলিষ্ঠ দুটি হাতে । পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার ক’রে নিয়ে গেল — নরহত্যার চেষ্টার অভিযোগে। কিন্তু সত্যিকার অভিযোগ কার বিরুদ্ধে ? দেশনেতা রূপাশংকর, না—কর্তব্যপরায়ণ সুবীর ? হাইকোর্ট সেসনে তারি বিচার হ’লো।.....