পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । ছিলেন। বালক দুইটা খুব করিয়া প্রশংসা ও পুরস্কারসহ অব্যাহতি লাভ করে। কি চমৎকার! এই কথা বলিয়া অমর কুমাব কয়েদী জয়পালের দিকে তাকাইবামাত্র দেখিল জয়পালের দুই চক্ষে জলধারা প্রবাহিত। তখন অমর কুমার নিতান্ত কুষ্ঠিতভাবে বলিল, “তুমি কঁাদছ!” কৈন ফাদা ? সে কি তোমার কেউ হয় ? আমি সেই ছেলেটার গল্প বলে তোমাকে কষ্ট দিলুম ? আমি কাহাকেও কষ্ট দিতে ৮াহি না । জয়পাল চোখেৰ জলে ভাসিতে ভাসিতে হাসিতে হাসিতে “ললিল, “বাৰু, তোমাব কথায় আমার বাড়ীর ছবিখানা, আমাৰ পরিবাবেৰ কথা, তাহার হাসিভবামুখখানা, সেই ছোট ছোট ছেলে ময়েদেব ধূলাখেলা, হাসিকান্না, সবটা আমার চোখের সামনে গেমসে উঠল। তাই চোর্থেব জল সামলাতে পালুম না । আঙ্গ তিন বছর বুকের উপব পাথর চাপা দিয়ে সংসারের সুখ দুঃখ সব। ভুলে, জেলে ঘানি টানতেছি। আজ তোমার কথার কায়দায় আমাব বুকোব চাপা পাথর সরে গেল। এই কয়েদীর শরীরে মানুষের প্রাণটা সহসা জেগে উঠেছে, তাই চোখে জল এসেছে, যাক এখন এই তিন মাস আর এই সব কথা ভাবিব না, ভাবতে গেলে, তিন দিনে পাকাটা হয়ে যাব । যাক, যাক, এখন ওসব কখা থাক।” আমারকুমার বলিল, “বল, আমার কোন কথায়, কি কায়দায় তোমার গ্রাম্য জীবনের সন্নল মানুষের ভাষা জেগে উঠলে ? সে কোন কথা ? সর্দায় বালক রাম কি তোমার কেউ হয় ? জয়পালের দেহের বিশেষভাবে মুখেয় মসী বর্ণ উজ্জল দান্য আভায় আরক্ত হইল, সে বলিল, “বাৰু, আমি আমার তিন বছরের ছেলে