বাড়তে লাগল দ্রুত। ভিড় এমন একটা পর্যায়ে পৌছল, যা সামাল দেওয়া একা ফুঁ-বাবার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হল। গুরুদাস পার্কে কৃপাপ্রার্থীদের জন্য গণ্ডায় গণ্ডায় অ্যামপ্লিফায়ারের ব্যবস্থা হল। হাজার হাজার কৃপাপ্রার্থী তেলের পাত্রের মুখ খুলে দাঁড়িয়ে রইলেন, ফুঁ-বাবা অ্যামপ্লিফায়ারের মাধ্যমে ফুঁ দিতে লাগলেন।
ফুঁ-বাবার মঞ্চে একজন চলার শক্তিহীন মানুষকে তুললেন কয়েকজন। কয়েক মিনিটের মধ্যে ফুঁ-বাবার কৃপায় চলার শক্তি ফিরে পেলেন রোগী। এমন বিস্ময়কর অলৌকিক ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষ যখন মুগ্ধ, বিহ্বল, উত্তেজিত, ফুঁ-বাবার জয়ধ্বনিতে মুখরিত এমনি সময় আর এক রোগীকে নিয়ে মঞ্চে উঠে এলেন কিছু তরুণ। এই রোগীটিও চলার শক্তি হারিয়েছেন। তরুণদের অনুরোধ ফুঁ-বাবা অবহেলায় উপেক্ষা করলেন। অনুরোধের সুরে কিছুক্ষণের মধ্যেই পাওয়া গেল ক্ষোভ। মঞ্চে আবির্ভূত হল বাবার অসুরবাহিনী। অসুরবাহিনীর আসুরিক শক্তিতে তরুণরা রক্তাক্ত হলেন বটে, কিন্তু ওই রক্তেই জন্ম নিল জনজাগরণ। গণপ্রহার থেকে বাঁচতে ফুঁ-বাবা ও তাঁর বাহিনী পালানোকেই এই ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ উপায় হিসেবে বেছে নিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। পুলিশ ফুঁ-বাবাকে গ্রেপ্তার করার পর আবিষ্কৃত হল আর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফুঁ-বাবা এক দাগী ফেরারী আসামী।
১৯৮৮-র শুরুতেই ডাব-বাবার মাহাত্ম্য লোকের মুখে মুখে হু-হু করে ছড়িয়ে
আদি ডাব বাবা