এমনি আরও বহু বহু অবতারের রোগমুক্তির ক্ষমতার উপর সমীক্ষা চালিয়েছি আমরা। প্রতিটি ঘটনা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করলেও একটা মোটা-সোটা বই হয়ে যাবে। এইসব সমীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিতভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি—
যাঁরা বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতায় বা স্বপ্নে পাওয়া ওষুধের সাহায্যে
যে কোনও রোগ সারাবার দাবিদার, তারা প্রত্যেকেই হয়
বুজরুক, নয় পাগল। অবতারদের সকলকেই ঠগ।
ও ধান্দাবাজ বলতে পারি না। এঁদের
অনেকেই ঈশ্বর সম্বন্ধে জম্মগত
ভাবে নানা ভ্রান্ত ধারণার
শিকার।
এই যুগেই বেশ কিছু অবতারদের দেখতে পাচ্ছি, যারা নানা রকম সেবামুলক কর্মসুচির মুখোশ এঁটে চুড়ান্তভাবে মানুষ ঠকিয়ে অর্থ রোজগারের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্ম-ব্যবসায়ে আজ তারা একদিকে যেমন বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়ে উঠেছে, তেমনি ভক্ত রাজনৈতিক নেতাদের ও উঁচু সমাজের লোকদের কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠেছে সংবিধান বহির্ভূত ক্ষমতার অধিকারী।
১৯৮৫-র মে-জুনে আর এক ভারতীয় যোগী পত্র-পত্রিকায় যথেষ্ট আলোড়ন তুললেন। শিববাল যোগী। শিববাল যোগীর দাবি, তিনি যোগের দ্বারা প্রকৃতিকে (বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিকম্প ইত্যাদি ঘটনা) নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। তারই সবচেয়ে বড় প্রমাণ তিনি রাখলেন ৩০ মে বাঙ্গালোরে। যোগের দ্বারা বৃষ্টি নামালেন। ঘটনাটার দিকে এবার একটু ফিরে তাকানো যাক।
বাঙ্গালোর শহরে জল সরবরাহ করা হয় শহরের কাছাকাছি থিপাগাণ্ডানাহালি জলাশয় থেকে। বৃষ্টিপাতের অভাবে জলাশয়ের জল খুবই কমে গিয়েছিল। বাঙ্গালোর ওয়াটার সাপ্লাই অ্যাণ্ড সিউয়্যারজ বোর্ড (Bangalore Water Supply and Sewerage Board) কর্তৃপক্ষের মতে বৃষ্টি না হলে সঞ্চিত জলে আর মাত্র ১৫ দিনের মতো জল সরবরাহ সম্ভব। শেষ পর্যন্ত মুশকিল আসানের জন্য বোড কর্তৃপক্ষ শিববাল যোগীকে অলৌকিক ক্ষমতাবলে বৃষ্টি আনার জন্য লিখিতভাবে আমন্ত্রণ জানান।
২৮ মে বাঙ্গালোরের এক দৈনিক সংবাদপত্রে প্রথম খবরটি প্রকাশিত হয়। অতএব ৩০ মে জলাশয়ের কাছে অনুষ্ঠিত শিবলাল যোগীর বৃষ্টি আনার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উৎসুক দর্শকের অভাব হয়নি। অনুষ্ঠানে শিববাল যোগী এলেন শুভ্র