পরামর্শ দেন বাবাঠাকুরের শরণাপন্ন হতে। বাবাঠাকুর দিলেন আশীর্বাদী ফুল-বেলপাতা। বলে দিলেন, এই ফুল-বেলপাতা রোগীর শরীরে বুলিয়ে দিও। অবাক কাণ্ড, কয়েক দিনের মধ্যেই রোগী রোগমুক্ত হলেন।
জনৈক পঙ্কজ হাজরা জানিয়েছেন, একরাতে আসন্ন প্রসবা স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন হাসপাতালে। সঙ্গী করেছিলেন শুধু ‘তাঁর নাম’। পথ চলছেন আর ব্যাকুল হয়ে ডাকছেন, ‘গুরু তুমি দৃষ্টি রাখো।’ হঠাৎ পথের মাঝেই দর্শন পেলেন ইষ্টদেব সদানন্দের।
রেণুকা সমাজদার জানিয়েছেন, এক ফাল্গুনী গভীর রাতে হঠাৎ সমস্ত ঘর আলোকিত হয়ে গেল। রেণুকা দেখতে পেলেন সেই আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন শ্রীসদানন্দ। প্রাণ-মন আনন্দে ভরে উঠল। বিস্ময়ের আরও কিছু বাকি ছিল। শ্রীসদানন্দ হঠাৎ রূপ পরিবর্তন করলেন। হয়ে গেলেন মা কালী। এরপরও বহুদিন সময়ে-অসময়ে অপার করুণা বর্ষণ করে দেখা দিয়েছেন কখনো কৃষ্ণ, কখনো গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু রূপে, কখনো বা কালী রূপে।
একই ভাবে লক্ষ্মী ঘোষ তীব্র আকুতি নিয়ে যখনই ঠাকুরের দর্শন চেয়েছেন, তখনই শ্রীসদানন্দ আবির্ভূত হয়েছেন। এই সদানন্দই কখনো দর্শন দিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ হয়ে, কখনো বিষ্ণু রূপে, কখনও বা গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর রূপ নিয়ে।
জনৈক পার্থ কুণ্ডু চৌধুরী একদিন ঘরে বসে তারকেশ্বরের বিগ্রহকে মনেমনে স্মরণ করে কল্পনায় রূপ গড়ে প্রণাম জানাচ্ছেন। পরম বিস্ময়ে দেখলেন, তারকেশ্বর বিগ্রহের ঠিক পিছনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন ঠাকুর শ্রীসদানন্দ স্বয়ং। এমনতর আরও অনেক অত্যাশ্চর্য অলৌকিক ঘটনা আরও অনেকের জবানিতেই প্রকাশিত হয়েছে।
এক সময়ে ভিতরে যাওয়ার ডাক পেলাম। শ্রীসদানন্দ একটা খাটে বসে। বয়স পঁয়তাল্লিশের কাছাকাছি। উচ্চতা পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির মধ্যে। মেদহীন চেহারা। গায়ের রঙ সাধারণ বাঙালিদের তুলনায় কিছুটা ফর্সা। চুল প্রায় ঘাড়ে এসে পড়েছে।
বাবাঠাকুরকে পরিচয় দিলাম ‘আজকাল’ পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে। নাম বললাম পুলক ঘোষ। সদানন্দ আমার সম্বন্ধে খুঁটিনাটি অনেক প্রশ্ন করলেন। জিজ্ঞেস করলেন, আপনাদের পত্রিকায় তো প্রবীর ঘোষও লেখেন, ওঁকে চেনেন? উত্তর দিলাম, প্রবীরবাবুর লেখার সঙ্গে সামান্য পরিচয় আছে, কিন্তু প্রবীরবাবুর সঙ্গে নয়। বাবাঠাকুর বললেন, আপনার ছবি-টবি কোনও বই বা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে? আপনাকে খুব চেনা-চেনা লাগছে। বললাম, না, আমার ছবি প্রকাশিত হওয়ার মতো নামী-দামি মানুষ এখনও হয়ে উঠতে পারিনি। তবে বহু জায়গায় ঘুরতে হয়, কোথাও দেখে থাকতেই পারেন।
না, সাক্ষাৎকার নেবার চেষ্টা করিনি। নিজের সমস্যা নিয়ে এসেছি—