বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সাধুসন্তদের অলৌকিক ক্ষমতা
৫৯

 ব্রহ্মচারীবাবা বললেন, “এবার কুশিটা পিঠ থেকে নামিয়ে ওকে তুলে দাঁড় করা।” করলাম। গুরুদেব আদেশ দিলেন, “এবার ওকে জোর করে দৌড় করা।”
বালক ব্রহ্মচারী
 তাই করলাম, মহিলাটি, “পারব না, পারব না,” করে ভেঙে পড়তে পড়তেও আমার জন্য দৌড়তে বাধ্য হলেন। এবং তারপর দৌড়ে গুরুদেবের পায়ের কাছে উপুড় হয়ে পড়ে বললেন, “বাবা, আমি ভাল হয়ে গেছি।”

 গুরুদেব হাসলেন। বললেন, “যা নার্সিংহোমে যেতে হবে না, বাড়ি ফিরে যা।”

 মহিলাটি নিজেই হেঁটে চলে গেলেন। ব্রহ্মচারী এবার আমাকে বললেন, “তুই মাঝে মাঝে এখানে এলে এমনি আরও অনেক কিছুই দেখতে পাবি। এবার আমাতে বিশ্বাস জন্মেছে তো তোর?”

 বললাম, “আমি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর পাইনি। তা পেলেই আমার বিশ্বাস জন্মাবে।”

জাদুকররা যেমন দর্শকদের মধ্যে নিজেদের লোক রেখে
সাজানো ঘটনা দেখিয়ে দর্শকদের অবাক করে
দেন, অনেক গুরুদেবই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি
হলে এই ধরনের নানা রকমের সাজানো
ঘটনার অবতারণা করেন।

 গুরুদেব যা দেখালেন সেটা সাজানো ব্যাপার হতে পারে।

 কুশির জল মন্ত্র পড়ে গরম করার ঘটনাটির পিছনেও ধাপ্পাবাজি থাকা সম্ভব। ব্রহ্মচারীবাবা বললেন, “দেখ তো কুশির জলটা গরম হয়েছে কিনা?” আমি দেখেছিলাম গরম। এমনও তো হতে পারে, গরম জল এনেই রোগিণীর পিঠে রাখা হয়েছিল।

 ব্রহ্মচারীবাবা আমাকে বললেন, “যা, দরজাটা ভেজিয়ে দে। তোর সঙ্গে আর কিছু কথা আছে।”