ছোটবেলা থেকেই ঠাকুর-দেবতা ও সাধু-সন্ন্যাসীদের নানা অলৌকিক
ঘটনার কথা অনবরত পড়ে ও শুনে আমাদের মনের মধ্যে
একটা যুক্তিহীন অন্ধ বিশ্বাসের সৃষ্টি হচ্ছে। এই
মানসিকতার সুযোগ নিয়ে একদল প্রতারক
অলৌকিক ক্ষমতার নামে লৌকিক
জাদু দেখিয়ে ধর্মের নামে
ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
খবরের কাগজগুলোতে অলৌকিক ক্ষমতার গপ্পো-কথা পড়েছি, ভূতের গপ্পো পড়েছি, টিভি-তে দেখেছি। বিভিন্ন মিডিয়ার হয়ে সে’সবের অনুসন্ধানে দেখেছি— প্রত্যেকটি মিথ্যে। ভাববাদীরা অবশ্য বলবেন, আমি যাদের নিয়ে লিখছি, তাদের বাইরেও আরও অনেক সাধু-সন্ন্যাসী এসেছিলেন বিশেষত ভারতবর্ষে। যাঁদের অলৌকিক ক্ষমতা ছিল। অতীতের ওই সব সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে গড়ে ওঠা কাহিনি বা কল্পকাহিনির ব্যাখ্যা তথ্যের অভাবেই বর্তমানে অনুসন্ধান করা সম্ভব নয়। সত্যি বলে প্রমাণ করাও সম্ভব নয়।
বিজ্ঞান অলৌকিক বা অপ্রাকৃত কোনও ঘটনা বা রটনাতে বিশ্বাস
করে না। অলৌকিক কোনও কিছু ঘটেছিল এটা প্রমাণ
করার দায়িত্ব সাধু-সন্ন্যাসীদের বা তার ভক্তদের।
কোনও ক্ষেত্রেই তারা এই ধরনের কোনও
প্রমাণ দিতে সক্ষম হননি।
সত্য সাঁইবাবা ভারতের সবচেয়ে প্রচারিত অলৌকিক ক্ষমতাবান (?) ব্যক্তি। আর সব অবতারদের মতো সাঁইবাবাও ভক্তদের মধ্যে রয়েছে সমাদের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি। এই বিশিষ্ট ব্যক্তিরাই অবতারদের পক্ষে অতি বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করেন। সাধারণ মানুষ ভাবে এত বড়-বড় নামি-দামী লোকেরা যখন অমুকের শিষ্য, তখন অমুক সাধকের নিশ্চয়ই অনেক ক্ষমতা।
সাঁইবাবার অলৌকিক ঘড়ি-রহস্য।
সাঁইবাবার এমনি এক বিশিষ্ট ভক্ত ডঃ এস. ভগবন্থম। ইনি ভারত সরকারের প্রাক্তন বিজ্ঞান উপদেষ্টা। ভগবন্থম জানালেন, তিনি অলৌকিককে বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু সাঁইবাবার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর তাঁর আগেকার ধারণাই পালটে গেছে। নিজের চোখে সাঁইবাবার যে-সব অলৌকিক কাণ্ডকারখানা দেখেছেন,