তাতে অলৌকিকে বিশ্বাস না করে উপায় ছিল না। ভারতে এসে তিনি নিছক কৌতূহল মেটাতে সাঁইবাবার আশ্রমে তাঁকে দর্শন করতে আসেন। ভক্তদের মধ্যে ওই জাপানি ভদ্রলােকটিকে দেখতে পেয়ে সত্য সাঁইবাবা শূন্য থেকে একটি ছােট পার্সেল তৈরি করে তাঁকে দেন। পার্সেলটি খুলে ভদ্রলােক হতবাক হয়ে যান। ভেতরে ছিল জাপানে রেখে আসা ঘড়ির মডেলটি। ঘড়ির সঙ্গে বাঁধা রেশমের ফিতে, সঙ্গে মডেলটির নতুন নাম লেখা লেবেলটিও রয়েছে। জাপানি ভদ্রলােকের সাঁইবাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পর্কে সন্দেহ গেল মিলিয়ে। এই ঘটনার পর থেকে তিনি সাঁইবাবার একজন একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে ওঠেন। জাপানে ফিরে তিনি আলমারি খুলে দেখেন ঘড়িটি নেই। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব যা বললেন তা আরও বিস্ময়কর। সচিব বললেন, ঝাঁকড়া চুলের দেবকান্তি একটি লােক একদিন হেঁটে অফিসে ঢুকলেন, তারপর আলমারি খুলে ঘড়িটি নিয়ে চলে গেলেন।
অলৌকিকে অবিশ্বাসী ডঃ কোভুর ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করার জন্য ডঃ ভগবন্থমকে চিঠি লিখে জাপানি ভক্তটির নাম ও ঠিকানা জানতে চান। একাধিকবার চিঠি লিখেও ডঃ কোভুর কোন উত্তর পাননি। শেষ পর্যন্ত ডঃ কোভুর শ্রীলঙ্কার জাপানি দূতাবাস থেকে সিকো ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার ঠিকানা সংগ্রহ করে ওই কোম্পানির প্রেসিডেণ্টকে এই বিষয়ে আলােকপাত করতে অনুরােধ করে ৩০ অক্টোবর ১৯৭৩-এ একটি চিঠি লেখেন। সিকো ঘড়ির প্রস্তুতকারক সংস্থার ঠিকানা সংগ্রহ করে ওই কোম্পানির প্রেসিডেণ্ট শোজি হাট্টোরি এর উত্তরে যা জানান তা তুলে দিলাম।
তাঁর কথায়—একবার জাপানের ‘সিকো’ ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার এক কর্তা ব্যক্তি ভারতে আসেন। আসার সময় তিনি অফিসের আলমারিতে রেখে এসেছিলেন একটি বিশেষ সিকো ঘড়ি।
ডঃ এ. টি. কোভুর পামানকাড়া লেন |
সিকো
কে হাট্টোরি অ্যাণ্ড কোং লিঃ |
প্রিয় ডঃ কোভুর,
আপনার ৩০ অক্টোবরের চিঠিটার জন্য ধন্যবাদ। অলৌকিক ক্ষমতার দাবি বিষয়ে আপনার গবেষণার আগ্রহের আমি প্রশংসা করি। আপনি চিঠিতে মিস্টার সাঁইবাবার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানাতে পারছি না। আমার বা আমাদের কোনও পদস্থ কর্মীর সঙ্গে ওই ভদ্রলােকের পরিচয় ঘটেনি। আমি নিশ্চিত, যে ঘটনার কথা আপনি বলেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই। তাই